রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৫০ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : কিটের অভাবে রাজশাহীতে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে নগরের ভ্রাম্যমাণ করোনা পরীক্ষার সব বুথ বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, কিটের সরবরাহ পাওয়া সাপেক্ষে ভবিষ্যতে এই পরীক্ষা চালু হতে পারে। তবে সারা দেশে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে এই পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হলেও রাজশাহীর কোনো বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, গত জুন মাসে রাজশাহীতে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার চূড়ায় উঠেছিল। প্রতিদিনই ৫০ শতাংশের ওপরে শনাক্ত হচ্ছিল। তখন দ্রুত রোগী শনাক্ত করতে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৬ জুন থেকে নগরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথমে পাঁচটি বুথ থাকলেও পরে বাড়িয়ে ১৩টি করা হয়।
গত রোববার পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৫৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে সময় করোনা পরীক্ষায় নগরবাসীকে উৎসাহিত করার জন্য যাঁরা টিসিবির পণ্য কিনতে আসতেন, তাঁদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। টিসিবির কেন্দ্রের পাশেই অ্যান্টিজেন পরীক্ষার বুথ করা হয়। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ মিনিটের মধ্যে ফল জানানো হতো।
গত কয়েক দিন থেকে কিটের সংকট দেখা দিলে শুধু উপসর্গ থাকলে এবং বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের অ্যান্টিজেনে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। কম বয়সী এবং উপসর্গ না থাকলে অনেককেই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার থেকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, কিট সংকটের কারণে পরীক্ষা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কিট পাওয়া সাপেক্ষে পরীক্ষা করা হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে আমরা ৭০০-৮০০টি করে কিট পেতাম। সেটা দিয়ে কয়েক দিন পরীক্ষা করতাম। সবশেষ ৭৫০ কিট পেয়েছিলাম। সেটাও শেষ হয়ে গেছে। তাই টেস্ট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কিট এলে আবার কার্যক্রম শুরু হবে।