শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:০৯ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা :
রাজশাহীর বাগমারায় বাল্য বিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেল সুমাইয়া নামে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী। সে ঝিকরা ইউনিয়নের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। সোমবার বিকেলে ছাত্রীর বাড়িতে বাল্য বিয়ের আয়োজন চলাকালে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খোন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আকস্মিক এই অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের বাবা সহ আত্মীয়স্বজনরা কৌশলে পালিয়ে যায়। ভেস্তে যায় বাল্য বিয়ের আয়োজন।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী মাড়িয়া ইউনিয়নের সূর্যপাড়া গ্রামের মৃত গাজিবর রহমানের ছেলে সাজেদুর (২২) এর সাথে দেড় লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ের বিষয়টি চুড়ান্ত হয়। সোমবার বিকেলে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। এর আগে আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াত করা হয়। বিষয়টি গ্রামের সচেতন মহল মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্ত খোন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা ওই ছাত্রী বাড়িতে উপস্থিত হন।
এদিকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতির বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির সকল পুরুষ সদস্য কৌশলে সটকে পড়েন। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খোন্দকার মাক্বামাম মাহমুদা জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশে ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কোন পুরুষ ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। পরে ওই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইউএনও শরিফ আহম্মেদ জানান, স্থানীয় গ্রামবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর সাথে সাথে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজকের তানোর