বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:১৪ pm
ডেস্ক রির্পোট : আগস্ট। বাঙালির জীবনে এক অভিশপ্ত সময়। এই মাসে সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশে যে নৃশংসতা-বর্বরতা ঘটেছে, তা আর প্রত্যক্ষ করেনি মানবসভ্যতা। পিতা হারানোর কান্নার অশ্রু হয়তো শুকিয়ে গেছে কোনোকালে, কিন্তু হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আজও বহমান। সেই ক্ষরণে যে দহন বাঙালির ধমনিতে, তা যে মিটবার নয়।
বাঙালির আকাশে সেই যে আঁধার নামল, তা আজও ঘোচেনি। স্বাধীনতার পাঁচ দশকের বাংলাদেশ, জাতি এগিয়েছে বহুদূর। এগিয়েছে বিশ্ব সভ্যতাও। কিন্তু বাঙালির পূব আকাশে যে সূর্য উদিত হওয়ার ঊষালগ্নেই অস্ত গেল, তা আজও অমানিশার ঘোরে আটকা। পিতাকে হারিয়ে জাতি আজও হাতড়ে বেড়ায় সঙ্কটের প্রতিক্ষণে।
বাঙালির ইতিহাসে বিদ্রোহের আগুন জ্বলেছে হাজার বছর ধরে। আর হাজার বছরের বিদ্রোহের আগুনের সন্নিবেশ ঘটিয়ে জন্মেছিলেন টুঙ্গীপাড়ার সেই ছেলেটি। যার জন্মদিবসে ধরণীতে সূর্য ছড়িয়েছিল মুক্তির আভা। যার জন্ম মানেই শোষিতের জয়গান আর শোষকের প্রস্থান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে নামের বন্দনা কোনো সীমারেখায় আটকে রাখা যায় না। তিনি জন্মেছিলেন বাঙালির মুক্তির তাগিদেই। তবে শুধু জাতিসত্তার প্রশ্নেই নয়, তিনি এসেছিলেন মানবমুক্তির কেতন উড়িয়ে।
বঙ্গবন্ধু মানেই বাঙালি, বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই বঞ্চিত মানুষের মুক্তির ঠিকানা। অথচ মানবতার সেই মুক্তির দূতকেই হারতে হয়েছে স্বজাতির কাছে।
১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সাল। রক্তাক্ত এক অভিশপ্ত দিবসের হলিখেলা যেন। যুদ্ধবিধস্ত একটি দেশকে যখন আলোর নিশানা দেখিয়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু, ঠিক তখনই ‘আগস্ট’ নামের অন্ধকার নেমে আসে। আগস্টের এ দিনে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা হত্যা করে স্বাধীন রাষ্ট্রের জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। কেবল তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই সময় দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।