রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:১৬ pm
ডেস্ক রির্পোট : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে পাবনায় মারা গেছেন আরও ১০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা বলেন, করোনা ইউনিটে ৭৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫ জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন ৪ জন। এ ছাড়া সদর উপজেলায় একজন মারা গেছেন।
মৃতরা হলেন, আটঘরিয়ার নাসিরাপুর গ্রামের মৃত হারান মোল্লার ছেলে আব্দুল গফুর (৬২), বেড়া উপজেলার আমিনপুর এলাকার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফা আক্তার (৬০), হেমায়েতপুর গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী সুমা রহমান (৪০), ঈশ্বরদীর রূপপুর এলাকার মৃত দৌলত খানের ছেলে ইদ্রিস আলী (৬৩), শহরের দিলালপুর মহল্লার আবু তালেবের স্ত্রী শাহেদা শানু (৬০), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা (৩০)।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ও উপসর্গে মারা যাওয়া পাবনার ৪ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের কোনো সংকট নেই। রোগীদের মানসিক শক্তি, মনোবল বাড়ানোসহ করোনা রোগীদের সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা।
সালেহ মোহাম্মদ আলী জানান, আক্রান্ত হওয়ার শেষ সময়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। মারা যাওয়া প্রায় সব রোগীই আক্রান্ত হওয়ার শেষ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। সূত্র : আজকের পত্রিকা