রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:০৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনায় দেশে লকডাউন শিথিল চলছে। এঅবস্থার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো হচ্ছে পশুহাট। ঈদুল আজহা আসতে আর ৩ দিন বাঁকি। এরমধ্যেই জমে উঠতে শুরু করেছে রাজশাহীর তানোর অঞ্চলের পশুর হাটগুলো। হাটগুলোতে গরু-ছাগল কেনতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা ভিড় জমাচ্ছে। হাটে দেশি মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা এবারে বেশি। সেই সাথে গত বছরের চেয়ে এবছর বেড়েছে ছাগল ও গরুর দামও।
হাটে গরু ক্রেতাদের জানান,গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিটি সাইজের গরুর দাম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আর বিক্রেতারা দাবি, গো-খাদ্যের দাম বাড়াই গরু পালনে খরচ বেশি হয়েছে। গরু পালনের খরচ ধরে বাজারে গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে। তবুও দাম ক্রেতাদের সার্ধের মধ্যে আছে।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় গরু কম আসায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়েছে। শুধু তাই না, কয়েক বছর ধরে খামারিরা লাভবানও হচ্ছিল। অনেকেই বাড়িতে ছোট আকারের খামারও তৈরি করেছেন লাভের আশায়। কিন্ত হঠাৎ গত বছর থেকে গো খাদ্যের দাম বাড়াই খামারগুলোতে গরুপালনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
এই অঞ্চলের হাটগুলোতে কোরবানী উপলক্ষ্যে গরুর-ছাগলের সংখ্যা দিনে দিনে অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ দাম অনেক বেশি। এ দাম যদি থাকে তাহলে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কেজি প্রতি স্বাভাবিক বাজারের চেয়ে আরো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বৃদ্ধি পাবে।
রোববার থেকে গত এক সপ্তা ধরে সরেজমিনে উপজেলার মুন্ডুমালা, তানোর সদরের গোল্লাপাড়া, কালিগঞ্জ ও তালন্দ ছাড়া চৌবাড়ীয়া পশুহাটে গিয়ে একাধিক কোরবানি গরু কিনতে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছোট সাইজের গরু (৮০ কেজি মাংস হবে) এমন গরুর দাম ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের গরু (১০০ কেজি মাংস হবে) ৫৫ থেকে ৬০ হাজার ও বড় সাইজের গরু (১০০-১৪০ কেজি মাংস হবে) এক লাখ থেকে এক লাখ ১০ হাজার পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। আজকের তানোর