শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪০ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল আঘাতের দাগে সম্পর্কের রূপান্তর ! রাজু আহমেদ তানোরে শিক্ষক সমিতিকে নিজ পকেটে রাখতে মরিয়া বিএনপি নেতা মিজান অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না নগরীতে বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত আগামী ২৯ নভেম্বর খুলছে রাজশাহী সুগার মিল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে স্মরণসভা রাজশাহীতে যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ১১ বাগমারা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেবের ইন্তেকাল তানোরে মসজিদের এসি অফিসার্স ক্লাবে, ইমামের অর্থ আত্নসাৎ প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তানোরে বিএনপির কর্মীসভা নগরীতে ছাত্রলীগ নেতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮ জন গ্রেপ্তার লীজকৃত পুকুর দখল, মালিককে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ
ফোন দিলেই বাইসাইকেলে চা নিয়ে হাজির খালেক

ফোন দিলেই বাইসাইকেলে চা নিয়ে হাজির খালেক

আর কে রতন :
স্থানীয় বাজারে একটি চা স্টলেই ছিলো আয়ের একমাত্র উৎস। কিন্তু মহাসড়ক প্রশ^স্ত করার ফলে শেষ স্বম্বল দোকানের জায়গা হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অভাব অনটনের মধ্য উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল আব্দুল খালেকের। পরে চা বিক্রির জন্য তার নির্দিষ্ট কোনো দোকান না থাকায় নিরুপাই হয়েই ফেরি করে চা বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। তবে, তার ফেরি করে চা বিক্রি ধরণ অনেকটাই ভিন্ন। তিনি চা বিক্রি করে বেড়ান বাইসাইকেলে করে।

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক। করোনা মহামারির মধ্যে যখন বাজারের অধিকাংশ চা দোকান বন্ধ। তখন তিনি ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অলি-গলিতে চা বিক্রি শুরু করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। কারো চায়ের প্রয়োজন হলে তাকে ফোন করা মাত্র বাইসাইকেলে চায়ের ফ্ল্যাক্স নিয়ে দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে যান খালেক।

আব্দুল খালেক জানান, তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৪ জন। চা বিক্রি করে প্রতিদিন সব খরচ বাদ দিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হয়। ওই টাকায় সংসারের যাবতীয় খরচ বহণ করতে হয়। বাইসাইকেলে করে চা বিক্রি করেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল খালেক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘যারা আমার চা পান করেন এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ দোকানি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী। তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে চা পান করতে কোথাও যেতে পারেন না। তাই আমাকে ফোন করা মাত্রই আমি তাদের দোকানে গিয়ে চা দিয়ে আসি। এতে তাদের সময় বেঁচে যায়, আর আমার কিছু টাকাও আয় হয়।

মোহনপুর বাজার বণিক সমতির সভাপতি মুদি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, আমার মুদির দোকানে পাইকারি সেল করে থাকি। মালামাল ক্রয় করতে অনেক মানুষ আসে। দোকান রেখে চা পান করতে যাওয়ার সময় হয় না। তাই ফোন করলে খালেক ভাই চা দিয়ে যান। এতে আমার সময় কম লাগে। তাছাড়া খালেক ভায়ের চায়ের মানও অনেক ভাল।

উপজেলার বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল মোল্লা বলেন, বাইসাইকেলে করে চা বিক্রি করে বেড়ানো এটি মোহনপুর বাজারে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ফোন দিলেই খালেক চা নিয়ে হাজির হন। তার এক কাপ চায়ের দাম ৫ টাকা হলেও খেতে ভালোই লাগে।

মোহনপুর গালস্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, খালেক একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি বাইসাইকেলে করে বাজারের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। এমন উদ্যোগে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে সাধুবাদ জানাই। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.