বৃহস্পতিবর, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১০ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমণ রোধে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনের সামনে বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি প্রকল্প চত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয়। বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল অনলাইনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। এছাড়া প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘বিগত প্রায় সাত দশক ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও উৎকর্ষের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। আগামী দিনগুলোতেও সে সফলতার অক্ষুণ্ন থাকবে।’
প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটির জন্মদিনকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন। ক্যাম্পাস নতুনরূপে সুসজ্জিত হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাস জুড়ে ছাত্র শিক্ষকের পদচারণায় তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে ঘরোয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হয় এদিনটিকে।
সেখানে অংশ নেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একে এম মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় । কালের বিবর্তনে ৭৫৩ একরের বিশাল ভূমিতে প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। রয়েছে এক হাজার দুই শত শিক্ষক ও দুই হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী। এছাড়া ১২ অনুষদের অধীনে বিভাগ রয়েছে ৫৯টি ।
১২টি একাডেমিক ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল রয়েছে ১১টি ও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ছয়টি। এছাড়াও গবেষক ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক ডরমিটরি। আজকের তানোর