শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২১ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে করোনা ভাইরাস দূর্যোগে একশ্রেণীর জনপ্রতিনিধি সাধারণ জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসেননি কেউ। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া না দিয়ে নিরব রয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সারাদেশের মতো রাজশাহীর তানোরেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এছাড়াও গণপরিবহণ বন্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ হোটেল-রেস্তোরা নির্দ্রিষ্ট সময়ের জন্য সিমিত আকারে খোলা রাখা হচ্ছে। এতে নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের পাশে এখানো সেভাবে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি অধিকাংশ জনপ্রতিনিধিরা। অথচ পৌর নির্বাচনের সময় মানবতার ফেরিওয়ালা ও দাতা হাতেমতায় ইত্যাদি বাহারি প্রচারণা নিয়ে মাঠে ছিল প্রার্থীরা। তবে, নির্বাচনের পর তারা এখন উধাও।
জানা গেছে, তানোরে দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) রয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ১ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান ২ জন। এছাড়াও উপজেলার দুটি পৌরসভায় ২ জন মেয়র, ১৮ জন কাউন্সিলর ও ৬ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রয়েছে। অন্যদিকে, সাতটি ইউপিতে ৭ জন চেয়ারম্যান, ৬৩ জন সদস্য (মেম্বার) ও ২১ সংরক্ষিত নারী সদস্য (মেম্বার) রয়েছে।
কিন্তু এবারের লগডাউনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যহত রেখেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্ত আর সব জনপ্রতিনিধিরা ঘর বন্দি মানুষের পাশে এসে দাঁড়াননি কেউ। অথচ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ভোটের সময় আপনারা যেমন সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যান, এখন ঠিক সেই ভাবে তাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন আহবানে এখানো সাড়া দিতে এগিয়ে আসেননি এউপজেলার জনপ্রতিনিধিদের কেউ। এব্যাপারে একাধিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আজকের তানোর