রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:০৭ pm
ডেস্ক রির্পোট : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন চরম দুঃসময় চলছে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের ওপর এখন ফ্যাসিবাদী জুলুম চালাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাই হচ্ছে শাসকগোষ্ঠীর প্রধান অস্ত্র। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক যারা গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার তারাই সরকারি জুলুমের শিকার হচ্ছেন। কেউ গুম হচ্ছেন, পঙ্গু হচ্ছেন, অথবা চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, যেহেতু জনগণের নিকট সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই, সেহেতু গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে হাতের মুঠোয় নিয়ে একদলীয় অপশাসনের জগদ্দল পাথর জনগণের বুকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে হুমকি ও ভয় দেখিয়ে এবং নির্যাতন করে কব্জা করার অপচেষ্টা চলছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন সম্পূর্ণরূপে বিপন্ন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর প্রাণঘাতী আগ্রাসনের মধ্যেও বিএনপি নেতাকর্মীসহ ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে গুম, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক থেমে থাকছে না। বরং সরকারের জুলুমের গতি পূর্বের মতোই চলমান আছে। জাতির সব অর্জন ও এগিয়ে যাওয়া এখন অন্ধকারে হারিয়ে যেতে বসেছে। জুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্রের ওপর সর্বোচ্চ আঘাত হানা হচ্ছে। এই নৈরাজ্যের অমানিশা আমাদের দূরীভূত করতেই হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা’ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট মামলায় প্রতিহিংসামূলক সাজা দিয়েছে। কারাবন্দি করে তার ওপর রাষ্ট্রীয় দমন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে। কারাবন্দি অবস্থায় সুচিকিৎসার অভাবে তার জীবনকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়েছে। তার সুচিকিৎসার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তার সুস্থতার জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও সরকার সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এটা সরকারের প্রতিহিংসা ও চরম নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব। সূত্র : যুগান্তর