রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১৮ am
মদ নিষিদ্ধের দাবিতে হাঁটলেন নারীরা। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এই সংবাদ। কি কারণ? সামাজিক অবক্ষয়। আর এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্তির জন্য নারীরা হন ঐক্যবদ্ধ। মদ নিষিদ্ধের দাবিতে ভারতের কর্তাটক রাজ্যে ১২ দিন ধরে চলা ২০০ কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে বেঙ্গালুরুতে সমাবেশ করেছিলেন নারীরা। রাজ্যের প্রায় ৪ হাজার নারী এই পদযাত্রা ও সমাবেশে অংশ নেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, রাজ্যে কোনো ধরনের মদ উৎপাদন এবং বিক্রি করা যাবে না। সেসময় এই সংবাদ দেশ-বিদেশে ব্যাপক কাভারেজও পেয়েছিলো। মদ নিষিদ্ধের দাবিতে সেই যাত্রায় অংশ নেওয়া এক নারীর নাম অম্বিকা। তিনি বলেছিলেন, স্বামী মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই তাঁকে মারধর করেন। স্বামীর কারণে আমি ভুগছি। সে প্রতিদিনই মদ পান করে আমাকে মারধর করে এবং আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি মরার মতো বেঁচে আছি। আমি এই নারীদের সঙ্গে দাবি নিয়ে এসেছি। আমি তাঁদের সঙ্গে মরার আগ পর্যন্ত এই প্রতিবাদে থাকব। আমি স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমার সঙ্গে আমার স্বামী কী করেছে, তা অনেক নারী দেখেছেন।’
২০১৯ সালেই ভারতের সরকার সেই এলাকায় মদ নিষিদ্ধে উদ্যেগ গ্রহণ করেছিলেন। আজ জাতি হিসেবে বিশে^র রোল মডেল তো দূরের কথা দুর্নীতিতে, খুন-ধর্ষণ-ঘুম-মাদকাসক্তিতে বাংলাদেশের মানুষ সেরা হতে চলেছে কেবল মাদকদ্রব্যর কারণে। সেই মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রথম আন্দোলন করেছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির রাজনীতিকগন। গণমাধ্যম অতটা গুরুত্ব দেয়নি, পুলিশ-প্রশাসনও এড়িয়ে গেছে। কারণ কি? কারণ একটাই আমাদের ধর্মীয় আলেম-পীর-মুরিদরা যতই বড় বড় কথা বলুক না কেন তারাও চায় না নিষিদ্ধ হোক মাদকদ্রব্য। নিষিদ্ধ হোক চায় না স্বয়ং সরকারের একটি বড় অংশ, প্রশাসনের অধিকাংশ, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ৯০ ভাগ। নেপথ্য কারণ কি জানেন? কারণ জানতে হলে একটু ধৈর্য্য ধরে লেখাটির সাথে এগিয়ে যান।
মদসহ সকল মাদকদ্রব্যর সূচনা হয় সিগেরেটে। এই সিগেরেটকে নিষিদ্ধ চেয়েছি ছাত্রজীবন থেকে। যখন নবম শ্রেণিতে অধ্যায়ণ করি, তখনই প্রতিষ্ঠা করেছিলাম ‘মাদকমুক্ত আমরা (মা)’ কিন্তু তা পৃষ্টপোষকতার অভাবে বারবার চেষ্টা করেও আর দাঁড় করাতে পারিনি। কারণ, প্রশাসন চায় না এমন সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করুক। অথচ একটু গভীরে গেলে জানা যাবে, তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট একটি নতুন অস্ত্র। সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের মাঝে ই-সিগারেটের ব্যবহারে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে ই-সিগারেটের প্রমোশন চালাচ্ছে। যা তরুণ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তাই খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই বাংলাদেশে এখনই ই-সিগারেট বন্ধ করা জরুরি উপলদ্ধি করেছি আমরা, উপলদ্ধি করেনি কেবল সরকার। কেন বলুন তো? চলুন সকল উত্তর জেনে নেই- মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবিতে যারা আন্দোলন করেছেন, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির সেই সকল নেতাকর্মীদের মতে- সিগারেট নিষিদ্ধ করলে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের একটি বড় অংশ যেহেতু সরকারী দল করে, আর সেই রাজনীতিকদের অধিকাংশই ধুমপান করে, তারা ক্ষোভে ফেটে পড়তে পারে, তাতে যোগ দিতে পারে সাবেক ক্ষমতাসীন দল এবং বর্তমান বিরোধী দলের রাজনীতিকরাও। এতে করে কেবল সিগারেট নিষিদ্ধ করলেই কাত হয়ে যেতে পারে সরকারের গদি, তার উপর আবার জনগোষ্ঠির অধিকাংশ পুরুষই ধূমপায়ী। একইভাবে ভয়ের সাগরে ভাসছে মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করলে সবার সব ধান্দা বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা নিয়ে।
মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ হলে এখন যেমন ধর্মীয় আলেমরা বলতে পারে বিপথে যেওনা; তখনতো আর এটি বলার কোন সুযোগ ধাকবে না; একইভাবে পুলিশ-প্রশাসন ইচ্ছে হলেই যে কাউকে মাদকদ্রব্য মামলায় জড়িয়ে দিতে পারছে; তখন সেই মহাসুযোগটি আর তারা পাবে না; আর রাজনীতিকরা মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ হলে নেতাকর্মীদেরকে যেমন ইচ্ছে তেমন করে চালানোর সুযোগ বঞ্চিত হবে। তখন আর রাজনীতিকদের মিছিলে এখনকার মত মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরকে দিয়ে শো-ডাউনও করা পারবে না। এমন শতাধিক কারণ আছে মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য নির্মমতার রাজনীতিক-প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে।
দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ হিসেবে ব্যাপক আলোচিত হলেও বাংলাদেশে সচারচর মদ কেনাবেচা চলে দিন আর রাত ভাই রাত আর দিন। তবু বাংলাদেশের ধর্মীয় আলেম নামক জালেমদের অধিকাংশই আরামে মজে থাকেন। তারা মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধের দাবিতে তো দূরের কথা টুটাও করে না মাদকের বিরুদ্ধে। তাদের ওয়াজ কেবল লোভ মোহ আর রাজনৈতিক কুৎসারটানোর জন্য নিবেদিত থাকে। কি দিলে কিভাবে বেহেশতে যাবেন! এসব বর্ণনা ব্যতিত তারা কখনো নিষিদ্ধ চাননি মদসহ সকল মাদকদ্রব্য, বন্ধ চাননি ফুটপাতে আশ্রয়হীন ভাসমান নারীর দুঃসহ দিনচলা। তারা কেবল দান করলেই বেহেশত-এর ওয়াজ করেন। কিন্তু কখনো বলেন না, নীতির কথা, আদর্শের কথা, এমনকি মদের বিরুদ্ধেও কোন কথা। আজ জাতির ক্রান্তিকালে লোভি লম্পট-লুটেরাদের রাজনৈতিক অপশক্তির কারণে বাংলাদেশের মত একটি দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশটিতে সরকারের অনুমোদিত কিছু ওয়্যার হাউজ, লাইসেন্স কৃত পানশালা ছাড়াও তারকা হোটেলগুলো থেকে মদ ক্রয় করে থাকেন অনেকে। ওয়্যার হাউজগুলোত থেকে তারা বিদেশী মদ তুলনামূলক সস্তায় সংগ্রহ করেন। এর বাইরে দেশী মদও পাওয়া যায়। এছাড়াও অঞ্চলভিত্তিক কিছু মদের নাম শোনা যায়, যার মধ্যে রয়েছে তাড়ি, বাংলা মদ, চু, দোচোয়ানি। আর ঢাকা ও চট্টগ্রামের অনুমোদিত পানশালায় বিদেশী মদের সাথে দেশী কোম্পানির মদও পাওয়া যায়। তবে প্রায়শই মদের নামে স্পিরিট সেবনে মৃত্যুর খবর আসে গণমাধ্যমে। বিশেষ করে চোলাই মদ সেবনেও অনেক মৃত্যু বা দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।
মদসহ বিভিন্ন মাদকের কড়ালগ্রাসে সামাজিক অবক্ষয়ের বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য হলো- মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবনের ক্ষতিকর প্রভাবে বাংলাদেশে মারা যায় বছরে ১ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। মাদকদ্রব্যর ক্ষতিকর প্রভাবে দুশো ধরনের রোগ ও ইনজুরিতে আক্রান্ত হয় মানুষ। ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী যারা মারা যায় তাদের মধ্যে সাড়ে ১৩ভাগই মদ্যপানজনিত কারণে মারা যায়। কেবল মদ সেবনের প্রতিক্রিয়ায় মানসিক ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয় লাখ লাখ মানুষের মধ্যে। দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের শূন্য দশমিক আট শতাংশ মানুষ মদ পান করে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই সিংহভাগ। মদ্যপানের কারণে যেসব রোগ বা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি তার মধ্যে রয়েছে লিভার সিরোসিস ও ক্যান্সার। যদিও বাংলাদেশে কাগজে-কলমে মদের বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি আইন আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ২ শতরও বেশি ক্লাব-বার অনুমোদন বা লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্য বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কি কিংবা ভদকার মতো মদের ওপর উচ্চহারে শুল্কের বিধান থাকার কারণে তা সেবনের জন্য একটি শ্রেণি নেমেছে অপরাধ-দুর্নীতি-ছিনতাই-রাহাজানীর মত জঘণ্য সব কাজে। আইনে বলা আছে, চাইলেই যেখানে সেখানে মদ বিক্রি করা যায়না এমনকি মদ সেবনেও বিধিনিষেধ আছে, কিন্তু তা মনিটরিংয়ের জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থা না থাকায় পাড়ার সুইপার থেকে শুরু করে পরীমনির ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার নায়ক নাসিরউদ্দিন পর্যন্ত থাকে যেখানে সেখানে মাতাল-মদ্যপ্য। খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বলছেন, দেশজুড়ে বিদেশী মদের ক্ষেত্রে কিছুটা কড়াকড়ি সম্ভব হলেও দেশীয় ভাবে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি মদ প্রতিরোধে কিছুটা শিথিলতা রয়েছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাজনীতিক-প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িককর্তারা জানলেও মানেন না মাদকদ্রব্য আইন। এসব কারণেই আজ থেকে ৪ বছর আগে অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্য কোথায় বেচাকেনা হবে, মদ্যপায়ীরা কোথায় বসে মদ পান করবেন, পরিবহন করতে পারবেন কি না—সেসব বিষয় স্পষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ–সংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া চূড়ান্তের কাজ করতে করতে কাটিয়ে দিয়েছে বছরের পর বছর; এখন বলছে-শিগগিরই বিধিমালাটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো। যতদূর জানি- এখন পর্যন্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মুসলিম প্রহিবিশন রুল ১৯৫০ ও এক্সাইজ ম্যানুয়াল (ভল্যুম–২) ও প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাহী আদেশে অ্যালকোহল বা মদ্যপান ও কেনাবেচার বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয়। অস্পষ্টতা থাকায় অ্যালকোহল বা মদ্যপান ও কেনাবেচা, আমদানি–রপ্তানি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিমালা হচ্ছে। তবে আগের মতোই এ দেশের মুসলিম নাগরিকদের জন্য মদ অবৈধই থাকছে। কোনো মুসলমান চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া মদ বা মদ জাতীয় পানীয় পান করতে পারবেন না। চিকিৎসকের সনদ নির্ধারিত ফরমে যুক্ত করে তাঁকে আবেদন করতে হবে। অমুসলিম নাগরিকেরা কোনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন না। তা ছাড়া মুচি, মেথর, ডোম, ঝাড়ুদার ও চা-বাগানের শ্রমিক ‘পারমিট’ নিয়ে দেশি মদ কিনতে পারবেন। ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তির কাছে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকছে।
মদ পাওয়া যাবে দুই থেকে পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি তারকাযুক্ত হোটেল, পর্যটন বা কূটনৈতিক এলাকা, রেস্টুরেন্ট, ক্লাব ও ডিউটি ফ্রি শপে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই–বাছাইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এক থেকে সাতটি বা প্রয়োজন হলে যৌক্তিকতা দেখিয়ে তার বেশি বারের লাইসেন্স পেতে পারে। বিধিমালায় বার বলতে বোঝানো হয়েছে অনুমোদিত জায়গা বা স্থাপনা, যেখানে বিদেশি মদ বৈধভাবে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও সেবন করা যাবে। বারের মধ্যে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার, ক্লাব বার রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন করে যে বিষয়টি যুক্ত হচ্ছে তা হলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শপিং সেন্টারে প্রতিষ্ঠিত ক্লাব বারে মদ কেনাবেচা ও পানের সুযোগ রাখা। সে ক্ষেত্রে ওই শপিং সেন্টারে ক্লাব থাকতে হবে এবং ক্লাবে সদস্যদের অন্তত ২০০ জনের অনুমতি থাকতে হবে। মদ বিক্রির সুযোগ থাকছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টের মালিক, ক্লাবের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অফ শপ অর্থাৎ মদ যেখানে শুধু বিক্রি হবে কিন্তু খাওয়া যাবে না—এমন দোকানের যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে। দেশে উৎপাদিত অ্যালকোহল বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারককে শুল্ক দিতে হবে না। বিধিমালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এবং এই বিধিমালার অধীনে যেসব ডিস্টিলারি বা ব্রিউয়ারির সনদ আছে, তারা বিয়ার উৎপাদন করতে পারবে, রপ্তানিও করতে পারবে। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া দেশের ভেতরে বাজারজাত করার অনুমতি থাকছে না। স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রতিটি দেশি ও বিদেশি মদ, বিয়ার বা এজাতীয় মাদকদ্রব্যের বোতল, মোড়ক বা পাত্রের গায়ে ‘মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, আইনের বিধান ব্যতীত মদ্যপান দন্ডনীয় অপরাধ’ কথাগুলো লাল কালিতে পরিষ্কারভাবে মুদ্রিত থাকার বাধ্যবাধকতা থাকবে।
এভাবে বলার পাশাপাশি সরকারের লাইসেন্স বাণিজ্যটাও দারুণ হিসেবে চলছে- সর্বোচ্চ ১২০ দিন১২০ দিন (সর্বোচ্চ)প্রয়োজনীয় ফি
১০,০০০/- – ৩০,০০০/- টাকালাইসেন্স ফিস-৩০,০০০/- মহানগর (এবং পৌর এলাকায় ২০,০০০/- ব্যয়বহুল এলাকায়) এবং ১০,০০০/- (অন্যান্য এলাকায়) । ধনী যদি মদ খায় তাহলে অন্যায় না, গরিব যদি খায় তাহলে অন্যায়। এমন পরিস্থিতি আমরা চাই না, নতুন প্রজন্ম চায় না। তারা বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশে মদসহ সকল মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ চায়; পাশাপাশি ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তর’ বিলুপ্ত করে ‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ কমিশন’ চায়। মুখে বলবেন ইসলামী কাজে হবে অনৈসলামী! তা চলবে না, ইসলামী বললে ইসলামের নিদের্শনা অনুযায়ী অন্য ১৪ টি দেশে যেভাবে মদ নিষিদ্ধ করেছে, ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-ধর্ম-মানবতা-সমাজ-সভ্যতাকে রক্ষার জন্য নিষিদ্ধ করুন মদসহ সকল মাদকদ্রব্য… মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি