নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন নয়জন গণমাধ্যমকর্মী। এরপরও অন্য ণমাধ্যমকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী ও তাদের পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে রাজশাহীতে কর্মরত ১৬ জন এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে বর্তমানে আটজন সাংবাদিক নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনেক সাংবাদিকের স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
আক্রান্তরা হলেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হাসান জনি ও তার স্ত্রী, সময় টিভির রাজশাহী ব্যুরো চিফ সাইফুর রহমান রকি, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী, এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও তার স্ত্রী, সোনার দেশের ফটো সাংবাদিক আলী এহসান তুহিন, ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপারসন মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী সংবাদের নিজস্ব প্রতিবেদক মীম ওবায়দুল্লাহ ও আরটিভির ক্যামেরাপারসন সানু।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মাছরাঙ্গা টিভির ক্যামেরাপারসন মাহাফুজুর রহমান রুবেল, মোহনা টিভির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মেহেদী হাসান শ্যামল, এসএ টিভির রাজশাহী ব্যুরো জিয়াউল গণি সেলিম ও ক্যামেরাপারসন আবু সাইদ, সময় টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান রাজিব, বাংলার জনপদের সংবাদকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান রকি, সানশাইনের নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান নূর।
রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের মাধ্যমে পরিবারে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। যেহেতু সাংবাদিকরা হাসপাতাল ও বাইরে গিয়ে মানুষের খুব কাছাকাছি থেকে কাজ করছেন, সেহেতু সংক্রমিত হচ্ছেন।
তারা জানান, সংবাদকর্মীদের সবসময় সব ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়। এজন্য বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। তাই সাংবাদিকদের সুরক্ষাসামগ্রী দরকার।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে কাজ করছেন সংবাদকর্মীরা। বেশির ভাগ হাউজের গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালের ভেতরে ও সামনে গিয়ে কাজ করছেন। করোনা রোগীদের সার্বিক বিষয়ের খোঁজখবর নিতে অনেক সময় করোনা ওয়ার্ডে যেতে হয়। এতে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রবীণ সাংবাদিক ও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, সাংবাদিকদের প্রতিকূল অবস্থা মেনেই কাজ করতে হবে। এসব মেনেই আমরা সাংবাদিকতায় এসেছি। এখন রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ বেশি।
তাই প্রত্যেক হাউজকে সংবাদকর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী দিয়ে কাজের জন্য মাঠে পাঠাতে হবে। যেসব সাংবাদিক টিকা পাননি কিংবা নেননি তাদের টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।আজকের তানোর