শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩০ pm
ডেস্ক রির্পোট : দিনাজপুরের দুটি উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন দুই স্বামী। এর মধ্যে কাহারোলে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে এক স্বামীর এবং নবাবগঞ্জে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্ত্রী। পুলিশ স্বামী হত্যার অভিযোগে দুই স্ত্রীকেই আটক করেছে। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার নৌধাবাড়ী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাঁশের লাঠি দিয়ে স্বামী ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়ের (৩২) মাথায় আঘাত করেন স্ত্রী ববিতা রানী রায়।
এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় কাহারোল উপজেলার ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নৌধাবাড়ী গ্রামের সুভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলায় বাপের বাড়িতে পালানোর সময় স্ত্রী ববিতা রানী রায়কে আটক করে পুলিশ। কাহারোল থানার ওসি ফেরদৌস আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে পরকীয়া প্রেমের জেরে গত বৃস্পতিবার রাতে স্বামী চানমিয়া ওরফে চান্দুকে (৪০) ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মরফিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে। নিহত চানমিয়া ওরফে চান্দু নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মৃত আলেফ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, রাতে স্বামী-স্ত্রী একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত মরফিয়া বেগমের কান্নাকাটির শব্দে আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে এসে তার শয়নকক্ষে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন।
প্রতিবেশীদের দাবি- পরকীয়ার জেরেই মরফিয়া তার স্বামীকে হত্যা করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী মরফিয়া বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্র : যুগান্তর- আজকের তানোর