রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতে সাতদিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিন চলেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে এই লকডাউন শুরু হয়। চলবে আগামী ১৭ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। দোকানপাটও বন্ধ ছিল। তবে কিছু মানুষকে গাড়ি না পেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। নগরের ভিতর দিয়ে কিছু অটোরিকশাও চলতে দেখা গেছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, “রাজশাহী মহানগরের সবকয়টি প্রবেশমুখে পুলিশ শক্তভাবে অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ টহল রয়েছে। বিনা কারণে কাউকেই শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে জরুরি সেবা পরিবহন ও ওষুধের দোকানপাট খোলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ চেষ্টা করছে শহরে মানুষকে না ঢুকতে। কিন্তু তবুও মানুষ নানা গলিপথ দিয়ে ঢুকে যাচেছ। তারা লকডাউন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা পজিটিভ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে । শনিবার বেলা ১১টায় হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত চারজনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন রোগী করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য তিনজনের বাড়ি রাজশাহী। তাঁরা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।”
এ নিয়ে গত ১২ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১২ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) রাজশাহী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১১২ জন। এর মধ্যে ৬৪ জনই মারা গেছেন করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর; বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
পরিচালক বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। ছুটি নিয়েছেন ৩৩ জন। ২৭১ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন ২৮৯ জন। অতিরিক্ত রোগীদের বিকল্পভাবে বেড বাড়িয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ১৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আটজন, নাটোরের দুইজন ও পাবনার একজন রয়েছেন।
‘‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৮৯ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১২২, চাঁপাইয়ের ১২০, নাটোরের ১৪, নওগাঁর ২৪, পাবনার ৫ ও কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন। হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ১৮ জন।” আজকের তানোর