শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪৯ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোহনপুর : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড হরিদাগাছী মহল্লায় এক গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে সোমবার (৭ জুন) মোহনপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ভিকটিমের স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আমার গ্রামের সাইদুরের ছেলে (ধর্ষক) শাহিন আলম (২৮) গ্রাম সম্পর্কে আমার ভাগ্নে হয়। আমাদের মহল্লায় তার বাড়ি। সে গত দুই-তিন মাস যাবত আমার স্ত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করাসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি আমার স্ত্রী আমাকে অবগত করলে আমি নিজে এবং বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে এই বদমাইশ শাহিন আলমকে বোঝানোর চেষ্টা করি এবং সম্মানের ভয়ে থানা বা আদালতে কোনো অভিযোগ করেনি।
আমি কেশরহাটে কসমেটিকের দোকান করি এবং ঘটনার দিন রবিবার (৬ জুন) ব্যবসা শেষে বাড়ি ফিরে আসি সন্ধ্যা ৮ টার দিকে। আমার মাটির তৈরি বাড়ির বাহিরের দরজা খুলে আমি বাড়ির ভিতরে গেলে মনে হল আমার শোবার ঘরের কাঠের জানালা ভেঙ্গে কেউ একজন দাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। দ্রুত আমি বাড়ির বাইরে গিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা কিন্তু ধরতে পারি না। পরে ফিরে এসে আমার স্ত্রীর নিকট জিজ্ঞাসা করলে আমার স্ত্রী জানায় সেই উত্ত্যক্তকারী শাহিন আলম গোপনে আমাদের শোবার ঘরে ঢুকে ঘাপটি মেরে বসেছিল। আমার স্ত্রী আলু ভর্তা করার জন্য সরিষার তৈল নিয়ে ঘরে ঢুকলে সে আমার স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করছিল। এমন সময় আমি বাড়ির ভিতরে আসলে ধর্ষক শাহিন আলম টের পেয়ে আমার স্ত্রীকে ছেড়ে ঘরের জানালা ভেঙ্গে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৈহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় আসামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন’র জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল। আজকের তানোর