রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪৪ pm
ডেস্ক রির্পোট : জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সময়মতো টিকা না আনতে পারলে জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘টিকা দিয়ে শুধু জীবন নয়, জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী প্রতি মাসে ২৫ লাখ করে টিকা প্রদান করা হবে। তার মানে ১৮ কোটি জনসংখ্যা যদি হয় তাহলে ৮০ ভাগ লোক হবে ১৫ কোটি জনসংখ্যা। হিসেব অনুযায়ী একটি ডোজ করে দিতে ৫ বছর সময় লাগবে। আর দুটি ডোজ দিলে ১০ বছরের কাছাকাছি সময় লাগবে। ১০ বছর সময় ধরে হার্ড ইমিউনিটি জনশক্তি ধারণ করার মতো জনশক্তিকে টিকা দেওয়া হয় তাহলে এই দশ বছর দেশের অর্থনীতির কি অবস্থা হবে। জীবন ও জীবিকার কী অবস্থা হবে?’
সোমবার (৭ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত টিকা কোথা থেকে কতটুক পাব? কখন পাব? এটি কেউ জানি না। কিছুকিছু জায়গা থেকে পাচ্ছি। আমাদের বন্ধু দেশগুলো উপহার দিয়েছে সেই টিকা দিয়ে চলছি। একটি মাত্র কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার কারণে পরবর্তিতে তারা যখন টিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তখন আমাদের হাতের সামনে বিকল্প ছিল না। এখন টিকা নিয়ে খুবই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। টিকা দেওয়া হবে ২৫ লাখ কোথা থেকে কার কাছ থেকে আসবে সেটি নিশ্চিত করা হয়নি। শুধু আশার বাণী শুনতে পাচ্ছি, নিশ্চিতভাবে আসবে এসব কথা জানি না। টিকার অনিশ্চয়তা দূর করতে না পারলে জীবন-জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বরাদ্দের চাইতে কম খরচও যেমন অস্বাভাবিক। বরাদ্দের চাইতে বেশি খরচ সেটাও অস্বাভাবিক। খরচ করতে না পারা অদক্ষতা সেখানে যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টা দেখা উচিত।’
জি এম কাদের বলেন, ‘দেড় বছরের বেশি হয়ে গেল করোনাকাল অতিক্রম করছি। করোনার মধ্যে দেশ এবং সারাবিশ্ব বিভীষিকাময় জীবন কাটছে। বিভিন্ন দেশে অমানিশার অন্ধকার থেকে রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, উন্নত বিশ্বে টিকা আবিষ্কার হয়েছে। টিকা আবিষ্কার হওয়ার পর তারা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। বেশিরভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পর অর্থনীতিকে কর্মকা-গুলো খুলে দিচ্ছে আস্তে আস্তে। এক সঙ্গে জীবন যেমন রক্ষা করছে টিকার কারণে টিকা বেশি দিয়ে সমাজকে আবার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। উন্নত দেশগুলো সফল হচ্ছে।’
সম্পূরক বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে বরাদ্দ ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ১৯ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ১৩ লাখ ৯৮৭ দশমকি ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ৪৩ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ ৪২ হাজার ৪৮১ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ২৯ হাজার ১৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে নীট ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮৩ কোটি টাকা। এটিকে নেতিবাচক বলা যায় না।’ সূত্র : এফএনএস