শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:২৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ধর্মের ভূমিকা শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত মানব কল্যাণ পরিষদ (এমকেপি) কর্তৃক পিস প্রকল্পের আওতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ধর্মের ভুমিকা শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ( ১৪ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নাগরিকদের কার্যকর ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পুলিশ ও কমিউনিটির মধ্যে তথ্য বিনিময় এবং নানাবিধ প্রতিরোধ মূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সভায় আলোচনা হয়।
এছাড়াও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্য, মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষার্থী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন, তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান, আল-মাদরাসাতুল ইসলাহিয়ার সুপার, মাওলানা মোকসেদ আলী, মুন্ডমালা সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গীর্জার ফাদার, প্যাট্রিক গমেজ, তানোর মন্দিরের পুরোহিত সাগর চন্দ্র পরামানিক এবং মানব কল্যাণ পরিষদ (এমকেপি) উপজেলা কো-অডিনেটর শহিদুল ইসলাম ও বাশির আহম্মেদ।
তানোর থানার আন্ডারে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের নারী ও পুরুষ সদস্যবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীগণ তাদের এলাকায় সমস্যার সম্মুখীন হন এমন বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়-কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য হিসেবে তাদের দায়-দায়িত্ব, উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকি তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র পুলিশের উপর নির্ভরশীল থাকলে চলবেনা আমাদের যার যার জায়গা থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য যে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম গঠন করা হয়েছে তাদেরকেও একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সামাজ গঠনে সার্বিক ভাবে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে এবং থানায় গেলে তারা সার্বিক সুযোগ সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, উগ্রবাদ রোধে তোমাদের ভুমিকা অনেক বেশি তোমাদের সচেতন থাকতে হবে। আজকের এই আয়োজনের জন্য মানব কল্যাণ পরিষদকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা দূর করা সম্ভব হবে বলে জানান।
মানব কল্যাণ পরিষদের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মনিরা পারভীন বলেন, Police Engagement Approach for Countering Extremism Through Community Policing Approach প্রকল্পটি রাজশাহী জেলায় মেট্রোপলিটন এলাকা সহ ১৭টি থানায় ১০০টি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে নিয়ে গত ডিসেম্বর হতে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, উগ্র বা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ধর্মের ভুমিকা শীর্ষক প্যানেল আলোচনা প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে পুলিশ এবং জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে, নাগরিকদের মধ্যে পুলিশি ভীতি দুর হবে, পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হবে যা কমিউনিটি পুলিশিং এর মূল উদ্দেশ্য সফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে সহায়তা করবে।