শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৩ pm
শাকিল আহমেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
আর যুবলীগ নয়, কর্মীবান্ধব ও জনপ্রিয় নেতা লুৎফর হায়দার রশিদকে রাজশাহীর তানোর উপজেলা অওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই এঅঞ্চলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এজন্য দলটির হাইকমান্ড ও স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তাঁরা।
ময়না চেয়ারম্যানের সফলতার শুরুটা ছিল ২০০৩ সালের দিকে। সেই থেকে রাজনৈতিক জীবনে আর ময়না চেয়ারম্যানকে পেছনে ফিরে তাকানোর দরকার হয়নি । তিনি রাজনীতির শুরুতে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ আর সেচ্ছাসেবকলীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীর ভালোবাসা নিয়ে তার পথচলা শুরু। সেই তৃমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় দুই দু’বার উপজেলার কলমা ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
তৎকালিন সময়ে ক্ষমতাধর বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের হাতে অনেক লাঞ্চিত হয়েছেন চেয়ারম্যান ময়না, তবুও তিনি ভেঙ্গে রাজনীতিতে পিছ পাঁ হননি।
এমন একটা সময় ছিল তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের পদ ধারী অনেক নেতা এমপি ফারুক চৌধুরীর কাছ থেকে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। তখন এমপি ফারুক চৌধুরী তো দূরের কথা তার গাড়ির সামনেও যেতে দেয়া হয়নি ময়নাকে। নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা না ভেবে আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগকে এক শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিণত করেছেন ময়না।
এক কথা সকল প্রকার দলীয় নির্বাচনে তানোর উপজেলা যুবলীগ তথা ময়নার ভূমিকা অতুলনীয়।
এউপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে যুবলীগকে রাজনৈতিকভাবে চাঙ্গা করে রেখেছেন। যার ফলে আজ আওয়ামী লীগের পদধারী অনেক নেতা জনপ্রিয়তায় ভুগছেন। কিন্তু ময়না চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে তা আলাদা, তিনি বরাবরের মত জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আগামীতে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অভিমতে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ময়না চেয়ারম্যানকে দেখতে চাই তারা।
এ সম্পর্কে তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. মজিবর রহমান বলেন, ময়না চেয়ারম্যান একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি সভাপতি হলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মূল্যায়ন পাবে। তাছাড়া পরিবর্তন সবাই চায়। নতুন কাউকে দেখা যাক তিনি কী করেন।
তানোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ময়না চেয়ারম্যান আমাদের আদর্শ। আমরা চাই আমাদের আদর্শই আমাদের উপজেলা সভাপতি হোক।
এ সম্পর্কে ময়না চেয়ারম্যান বলেন, আমি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ ছাড়াও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতা-কর্মীর কাছে অনেক ঋণি। তাদের ভালোবাসায় আজ আমি উপজেলাতে আসতে পেরেছি। রাজনীতি নিয়ে তার উক্তি, নেতাকর্মীদের ভালোবাসতে হবে, সৎ থাকতে হবে, ব্যক্তি স্বার্থ ভূলে সাধারণ মানুষকে ভালোবাসতে হবে,তবেই ভালোবাসা বা সফলতা আসবে। তানোর উপজেলার সাধারণ মানুষ ও তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য আমার দরজা সর্বদাই খোলা রেখেছি এবং যতদিন বেঁচে থাকবো আমার দরজা খোলা থাকবে ইনশাল্লাহ।
আগামীতে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংগঠনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব যদি দেন, তাহলে আমি সভাপতির দায়িত্ব পালন করব। অন্যথায়, যাকেই সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্ব দেবেন, তার সাথেই তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংগঠনের সাথেই কাজ করে যাব। আমি কখনোই নৌকা তথা আওয়ামী লীগের সাথে বেইমানি করিনি আগামীতেও করবো না ইনশাল্লাহ।
বর্তমানে ময়না চেয়ারম্যানকে তানোর উপজেলার জনসাধারনের মাঝেই দেখা যাচ্ছে। তিনি প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়ে জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস প্রতিরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সচেতন মূলক দিকনির্দেশনা, মাস্ক ও সাবান বিতরণ করছেন। আজকের তানোর