শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৫ am

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
তানোরে জীবিত প্রতিবন্ধী নারীকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ

তানোরে জীবিত প্রতিবন্ধী নারীকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে এক প্রতিবন্ধী আদিবাসী নারী জীবিত থাকার পরও তাকে মৃত দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বাক প্রতিবন্ধী নারী জন্ম থেকে কথা বলতে পারে না। তার নাম শ্রী মতি মার্শিলা সরেন (৩২)। তার বাবা সুপল সরেন ও মা শ্রীমতি মতি ফুলমনি মূর্মূ মারা যাবার পর থেকে বড় ভাই জুয়েল সরেনের অভাবের সংসারে থাকেন মার্শিলা । মার্শিলা সরেনের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের যোগীশো আদিবাসী পাড়ায়।

মার্শিলার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ দেয়া হয়েছে ১২ অক্টোবর ১৯৮৮ সাল। সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পরিশোধ বই সূত্রে জানা গেছে, মার্শিলা সরেন ২০১৯ সাল এবং ২০২০ সালে জুলাই হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ২২৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধীর ভাতা পেয়েছেন। সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহনের বই ৯২৩। ব্যাংক হিসাব নং- ২৫৭। ২০২১ সালে তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। ফলে সে ২০২০ সালের জুলাই হতে সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে আর কোন প্রতিবন্ধী ভাতা পায়নি । মার্শিলার সরেনের বড় ভাই দিনের পর দিন তানোর সমাজ সেবা অফিসের ঘুরে বোনের প্রতিবন্ধী ভাতার বিষয়ে কোন সূরোহা করতে পারেন নি।

সরজমিনে যোগীশো আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর বেলা রোদের মধ্যে মার্শিলা সরেন বসে আছেন। কথা হয় তার বড় ভাই জুয়েল সরেনের সাথে। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। অভাবের সংসার আমাদের। কাজ না করলে পেটের ভাত জোটে না। বাবা-মা মারা যাবার পর থেকে মার্শিলা আমি ও আমার রৌ দেখবাহাল করি। ছোটের বোনের প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে অফিসের বড় বাবুরা। আমার বোন নাকি মরে গেছে। আমার বোন জীবিত আছে এ মর্মে পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে একটি প্রত্যায়নপত্র দিয়েছে। কিন্তু সমাজ সেবা অফিসের বড় বড় বাবু রা বলছে আমার বোন মরে গেছে। ভোটার তালিকায় তোমার বোনের নাম নেয়। সেজন্য তোমার বোনের প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

তানোর উপজেলা পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার যোগীশো গ্রামের শ্রী মতি মার্শিলা সরেন জীবিত আছে। এ মর্মে আমি মার্শিলার ভাই জুয়েল সরেনকে প্রত্যায়ন দিয়েছি। আমার পরিষদ থেকে মার্শিরা সরেনকে মৃত ঘোষণা করিনি তাহলে সমাজ সেবার কর্মকর্তারা কিভাবে তাকে মৃত বলেন। সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তারা এরজন্য দায়ি।

তানোর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ হোসেন খাঁন বলেন, ভোটার তালিকায় শ্রী মতি মার্শিলা সরেনের নাম নেয়। তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। সে জন্য তার প্রতিবন্ধী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। তাহলে ইর্তি পূর্বে মার্শিলা সরেন কিভাবে ভাতা তুললেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে কি ভাবে প্রতিবন্ধীর টাকা উত্তোল করেছে আমার জানা নেয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনের মাধ্যমে সব দেখে ভাতা প্রদান করা হয়। নির্বাচন অফিসকে বলুন বিষয়টি ঠিক করতে। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.