সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:২৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : পাখির বাসার ভাড়া পেলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাঁচ বাগান মালিক। মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের হাতে তিন লাখ ১৩ হাজার টাকার চেক তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পাপিয়া সুলতানা সভাপতিত্বে এ সময় রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামান, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাহাত হোসেন, বাঘা উপজেলা বন কর্মকর্তা জহুরুল হক ও চারঘাট ফরেস্ট রেঞ্জার এ বি এম আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামকে ৪০ হাজার টাকা, মঞ্জুর রহমানকে দুই লাখ, সানার উদ্দিনকে ৪০ হাজার, সাহাদত হোসেনকে ৯ হাজার ও শিরিন আখতারকে ২৪ হাজার টাকা চেক তুলে দেয়া হয়।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরের শেষে বাগানে পাখিরা বাচ্চা ফুটিয়েছিল। কিন্তু বাচ্চাগুলো তখনো উড়তে শেখেনি। এ অবস্থায় আমবাগানের ইজারাদার বাগানের পরিচর্যা করতে চান। তিনি বাসা ভেঙে আমগাছ খালি করতে চান। একটি গাছের কিছু বাসা ভেঙেও দেন। স্থানীয় পাখিপ্রেমীরা যত দিন বাচ্চারা উড়তে না শেখে ততোদিন পাখির বাসা না ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন। এ অবস্থায় ইজারাদার ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন। ১৫ দিনের মধ্যে পাখিরা বাসা না ছাড়লে সেগুলো ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন।
গণমাধ্যমে পাখির বাসা ভাঙার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। আদালতের নজরে এনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারমিতা রায়। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশ দেন। তাতে কেন ওই এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
এলাকাটি অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে বাগান মালিক ও বাগানের ইজারাদারের ক্ষতির সম্ভাব্য পরিমাণ নির্ধারণ করে ৪০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসন থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা পাখির বাসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি আমগাছ চিহ্নিত করেন। তারা ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে।
গত ১ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখির বাসার জন্য আম চাষিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আজকের তানোর