সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩৩ pm
আর কে রতন :
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী শিক্ষানগরীসহ ৯টি উপজেলার সকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কিন্ডারগার্টেন পরিচালিত স্কুলগুলো ও প্রাইভেট সেন্টার আর গৃহ শিক্ষকতা পুরোপুরি বন্ধ। এগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে কর্মরত শতশত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি-এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা মাস শেষে বেতন-ভাতা পেলেও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। কারণ তাদের বেতন শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন থেকে পরিশোধিত হয়ে থাকে। তাই অস্বচ্ছল পরিবারের এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী ও অন্যদিকে গৃহ শিক্ষদের পরিবারে নীরব নিভৃতে চলছে দূর্ভিক্ষ।
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৪২৪টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি স্কুল) রয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহী নগরীতে (বোয়ালিয়া) কিন্ডার গার্টেন রয়েছে ১৩৩টি, পবায় ৭৩টি, গোদাগাড়ীতে ৪৫টি, চারঘাটে ২৩টি, তানোরে ১৩টি, দূর্গাপুরে ১৮টি, পুঠিয়ায় ১৮টি, বাগমারায় ৫৪টি, বাঘায় ২৩টি ও মোহনপুর উপজেলায় ২৪টি।
জানা গেছে, ৪২৪টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি স্কুল) শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৫ হাজারের অধিক। তারা কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে সব ধরণের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের অর্থ দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বেতনও বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, বন্ধ রয়েছে গৃহ শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকটি কিন্ডারগার্টেন ও গৃহ শিক্ষক জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল, প্রাইভেট দু’টোই ১ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। কষ্টের কথা হলো আমাদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে আমরা শিক্ষক হিসেবে সম্মানীয়। ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে বা কারো নিকট সাহায্য চাইতেও পারছি না। এতে করে সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
রাজশাহী কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি খালিদুজ্জামান খালিদ জানান, সরকারি স্কুলগুলোর পাশাপাশি আমরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শতভাগ নিশ্চিত করে যাচ্ছি। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সব কার্যক্রম সরকারের বিধি মোতাবেকই পরিচালিত হয়। কিন্তু এসব স্কুল শিক্ষকদের বেতন থেকে সব কিছু শিক্ষার্থীদের বেতন থেকেই চলে।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনায় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের এখন চরম দুর্দিন যাচ্ছে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের পরিবারে হাহাকার বিরাজ করছে। অনেকে বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করছে। চলমান দুর্যোগে আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি। আজকের তানোর