সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:১০ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
পবায় গাঁজাসহ এক দম্পত্তি গ্রেপ্তার রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ কর্মীসহ ১৪ জন গ্রেপ্তার নাচোলের কৃতিসন্তান সানাউল্লাহ নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ গ্রহণে এলাকাবাসীর অভিনন্দন রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার
দৃষ্টিত্রুটিতে দেশের ১৪ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থী : গবেষণা

দৃষ্টিত্রুটিতে দেশের ১৪ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থী : গবেষণা

ডেস্ক রির্পোট : দেশে শিশুশিক্ষার্থীদের মধ্যে দৃষ্টিত্রুটির প্রবণতা অনেকটা বেড়েছে। প্রতি ১০০ জন স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ১৪ জনের দৃষ্টিত্রুটি রয়েছে বলে জানা গেছে। এই শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি সমাধানের জন্য চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের কিছু এলাকায় স্কুলের শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি পরিস্থিতি’ নামে দেশের চার জেলার বিভিন্ন স্কুলের ৩২ হাজার ৭৪৮টি শিশুর চোখ পরীক্ষা করে একটি গবেষণা চালায় ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল। তাদের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

জেলা চারটি হলো- ঢাকা, বরিশাল, জামালপুর ও নওগাঁ। গবেষণার তথ্য থেকে জানা গেছে, চার জেলার মধ্যে রাজধানী ঢাকার শিশুদের দৃষ্টিত্রুটির হার ৪০ শতাংশ, যা সর্বোচ্চ। ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য চলতি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘দ্য এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজি’তে জমা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

গবেষণা দলের নেতা ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের শিশু চক্ষুরোগ ও স্কুইন্ট (ট্যারা) বিভাগের প্রধান ডা. মো. মোস্তফা হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিত্রুটি শনাক্ত করা ও ত্রুটি সমাধান করাই গবেষণাটির উদ্দেশ্য ছিল। উন্নত দেশগুলোতে শিশুরা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরপরই স্কুলগুলোতে গিয়ে চোখ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সারা বছরজুড়ে শিশুদের সেরকম কোনো চোখ পরীক্ষা হয় না।

গবেষণা চালাতে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের শিশু চক্ষু চিকিৎসকেরা চার জেলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে নার্সারি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের চোখ পরীক্ষা করেন।

গবেষকরা জানান, এ পরীক্ষায় প্রায় ১৪ শতাংশকে শিশুকে চশমা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এ সংখ্যা ৪ হাজার ৪২৯ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৯৬ জন শিশুকে তাৎক্ষণিক চশমা প্রদান করা হয়। আর বাকি ২ হাজার ৭৩৩ জন শিশুদের চোখে ওষুধ দিয়ে বাড়তি পরীক্ষা করার জন্য ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের স্থানীয় শাখায় পাঠানো হয়।

চিকিৎসক মোস্তফা হোসেন বলেন, শিশুদের দুই ধরণের দৃষ্টিত্রুটি হতে পারে। দূরে বা কাছে দেখার সমস্যা, এ সমস্যা চশমা দিয়ে দূর করা সম্ভব। এছাড়া কিছু শিশুর ‘লেজি আই’ বা দুর্বল চোখ হয়ে থাকে। ফলে ওই সকল শিশুদের কম বয়সে চোখের দৃষ্টি কম হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, শিশুদের ১০ বছর পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। এ অবস্থায় কম বয়সে শিশুদের চোখের চিকিৎসা করলে পরিপূর্ণ দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর শিশুদের চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন এ-যুক্ত খাবার নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, টান দীর্ঘসময় স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে শিশুদের চোখে চাপ পড়ে ও মাথাব্যাথা হয়। ফলে শিশুদের দৃষ্টিত্রুটি দেখা দিতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকাতেই শিশুদের মধ্যে দৃষ্টিত্রুটির প্রবণতা বেশি। ঢাকার ১৯টি স্কুলের মোট ৬ হাজার ৪০১ জন শিশু শিক্ষার্থীর চোখ পরীক্ষা করা হয়। যেখানে মোট ২ হাজার ৫৫১ জনকে চশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা যার হার প্রায় ৪০ শতাংশ। একইভাবে বরিশালে এ হার ১২ শতাংশ এবং নওগাঁ ও জামালপুরে প্রায় ৫ শতাংশ।

ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহির্বিভাগে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের চোখ দেখানোর হার কম। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বহির্বিভাগে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ২১ হাজার ৮৬১ জন শিশুর চোখ পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যায় প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় শিশুর চোখ পরীক্ষা করার হার প্রায় ১৮ শতাংশ। এ হার ২০২০ সালেও মোটামুটি একই রকম ছিল।

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জিনগত কারণ ও স্বল্প ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা গেছে, গ্রামের শিশুদের তুলনায় শহরের শিশুদের চশমা ব্যবহারের হার বেশি। এর পেছনের কারণ কী, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.