শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫২ am
শহিদুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে শেষ স্টেশন রহনপুর পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কিলোমিটার রেল পথ রয়েছে। ওই রেল পথের দু ধারেই বিভিন্ন সময় লাগানো হয়েছে অসংখ্য গাছ। তার মধ্যে রয়েছে মেহগনি, শিষা, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতী। স্থানীয়দের তথ্যমতে, প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর আগে রেল বিভাগের জমিতে গাছগুলো লাগানো হয়।
কিন্তু বর্তমানে গাছগুলো যথেষ্ট বড় হওয়ায় ঝড়-বাতাসে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি রাতের আধারেও চুরি হচ্ছে এসব মূল্যবান গাছ। তবে এ নিয়ে যেন মাথা ব্যাথা নেই কর্তৃপক্ষের।
গোলাবাড়ী এলাকার পঞ্চাশোর্ধ্ব সেরাফত আলী বলেন, ‘প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর আগে রেলওয়ের দুই ধারে বিভিন্ন জাতের অনেক গাছ লাগানো হয়। তারপর থেকে আর কেউ খোঁজ নিতে আসে না। গাছগুলো দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে নতুন গাছ লাগানো উচিৎ। কারণ পুরোনো বয়স্ক গাছগুলো পচে এবং পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
নেজামপুর গ্রামের বাসিন্দা তোহমিনা জানান, বড় বড় গাছগুলো এলাকার কিছু মানুষ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু গাছ রেললাইনের ধারে এখনও পড়ে রয়েছে। এসব গাছ অনেক মূল্যবান। সরকারিভাবে যদি এখনও বিক্রির ব্যবস্থা করা না হয়, তবে সব গাছ যেমন চুরি হবে, তেমনি নষ্ট হয়ে যাবে। এতে রেল বিভাগ কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রেলের জমিতে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গাছগুলো রোপন করে। সে গাছগুলো দেখাশোনা করার দায়িত্ব তাদের। গাছের সঙ্গে রেল বিভাগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে গাছগুলোর বয়স হয়েছে সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই টেন্ডার আহ্বান করে বিক্রি করা হবে। আর কেউ যদি গাছ চুরি করে নিয়ে যায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া গাছগুলো যেন কেউ চুরি করতে না পারে সে বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ আজকের তানোর