রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:১৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে চলমান করোনা মহামারী থেকে সবাইকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে জীবনের সব পাপ মোচন, এক মাসের সিয়াম সাধনা কবুল ও নাজাতের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। এছাড়া হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি আর কূপমণ্ডূকটার বিপরীতে মানবিক মূল্যবোধ আর পরমতসহিষ্ণুতার বারতা ছড়িয়ে দিয়ে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান এসেছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর প্রধান ঈদ জামাত থেকে।
শুক্রবার সকাল ৮টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা ফাঁকা ফাঁকা হয়ে সারিবদ্ধ হয়ে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত শেষে আজ পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি বা করমর্দন করেন নি কেউ। তবে দূর থেকেই কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই। নামাজকে ঘিরে এ সময় কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সরকার শরীফুল ইসলাম শরীফ জানান, প্রতিবছর ইসলামি ফাউন্ডেশন, সিটি করপোরেশন ও হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ ট্রাস্টি বোর্ড যৌথভাবে ঈদগাহগুলোতে ঈদ জামাতের সময় নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু করোনা সংকটের ফলে সরকারি নির্দেশনার কারণে এবার রাজশাহীর কোনো ঈদগাহেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই নিজ নিজ এলাকার মসজিদ কমিটিকে তাদের ঈদের নামাজ পড়ার সময় ঠিক করে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
সরকার শরীফুল ইসলাম শরীফ বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য সবাইকে এবার বাড়ি থেকেই ওজু করে আসতে হয়। সঙ্গে আনতে হয় জায়নামাজ। তারা মসজিদ ফটকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছিলেন। সরকারি নির্দেশনা মেনেই তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় হাজী লাল মোহাম্মদ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এসময় চলমান করোনা মহামারী থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ফরিয়াদ জানানো হয়। আজকের তানোর