সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:২২ am
ডেস্ক রির্পোট : মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া, খাইরুল ইসলাম কালু, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও সাইদুল ইসলাম শিকদার সাকু। পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে তার বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ৫। মামলাটি তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলা করার পর বাদী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন- ২০১৩ সালে বাবুলের পোস্টিং কক্সবাজারে থাকার সময় এনজিও কর্মী গায়েত্রী অমরসিংয়ের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এটা মিতু জানতে পারায় সাঙ্গ-পাঙ্গদের দিয়ে তাকে হত্যা করেন বাবুল।
এর আগে মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআইতে ডাকা হয়েছিল। এরপর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মিতু হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। এর আগে সেটি নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করেছিল। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলা তদন্তের ভার পিবিআইকে দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদফতরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল।
এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার। তবে পুলিশ তদন্তে তার সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। এরপর তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। আজকের তানোর