রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৩৫ am
মিজান মাহী, দুর্গাপুর : অনাবৃষ্টি ও খরায় পুড়ছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পাটখেত। বৈশাখা মাসেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাটের আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। শুস্ক মৌসুমে এ জেলায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে মাঠে মাঠে পাটখেতের পরিচর্যা করলেও বাড়ছে না পাটগাছ। কৃষিবিদদের অভিমত- সময় মাফিক বৃষ্টি না হওয়ায় পাটগাছ বাড়েনি।
অতিরিক্ত খরা ও প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে পাটগাছ শুকিয়ে বিবর্ণ ও পাতা কুঁচকে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পাটখেতে ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে কষকদের। ফলে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। প্রচণ্ড রোদে জমির আগাছাও পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলে আশঙ্কা কৃষকদের।
দুর্গাপুর কৃষি অধিদপ্তর জানায়, জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় এবার এক হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিল এক হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা জমিতে পেঁয়াজ, আলু ও ভুট্টা উঠানোর পর পাটচাষ করেছে। তবে এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা সেচ দিয়ে পাটবীজ বপন করেছে। এজন্য শুরু থেকে কৃষকদের খরচ বাড়ছে। এছাড়াও অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে পাটখেত কাঙ্খিত মাত্রায় ভাল হয় নি। তবে এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে পাট নিয়ে কৃষকদের দুচিন্তা কেটে যাবে।
দুর্গাপুর পৌর এলাকা দেবীপুর গ্রামের পাটচাষি আব্বাস আলী বলেন, আলু ও পেঁয়াজ উঠানোর তিনি ৩বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন। এসময় বৃষ্টির জন্য প্রায় দুই সপ্তাহ সময় ক্ষেপণ করেছেন। এরপরও বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে জমিতে পাট বপন করেন। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পাটখেতে ঘন ঘন সেচ দিচ্ছেন তিনি। ফলে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। প্রচণ্ড রোদে জমির আগাছাও পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলে আশঙ্কা তাঁর।
উপজেলার রৈপাড়া গ্রামের কৃষক সাইফুর রহমান বলেন, প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে পাটচাষ করেছেন। এ বছর পাটের চাষাবাদ করার সময় বৃষ্টি হয়নি। তাই সেচ চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তারপরও পাট গাছ বাড়ছে না। এসব মিলিয়ে উৎপাদন খরচও দ্বিগুন বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান বলেন, শুস্ক মৌসুমে এ জেলায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। তাপদাহে পাট গাছে পোকার উপদ্রব বেড়ে যাবে। ফলে পাটের কচি পাতা কুঁকড়ে যাবে। এ অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে করে পাট রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে ঘনঘন সেচ দিতে হবে পাটখেতে। বৃষ্টির আশায় অপেক্ষা করলে পাটখেতের ক্ষতি হতে পারে বলে সর্তক করেন চাষিদের। আজকের তানোর