বুধবা, ১৮ িসেম্র ২০২৪, সময় : ০৯:৩২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে সিএনজি শ্রমিকদের সাথে বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন বাস শ্রমিক আহন হন। আহতরা হলেন, বাসচালক স্বপন আলী, বাবর, শাহীন, নুরুজ্জামান ও সুপারভাইজার জিয়া। এঘটনার ২০ দিন আগে পবা উপজেলার বাগধানী নামক স্থানে বাসমাস্টার, ড্রাইভার ও হেলপারের হামলার শিকার হন বেশ কয়েকজন সিএনজি চালক। এই হামলার প্রতিকার বা সুরহা চেয়ে থানাপুলিশ ছাড়াও ডিসি-এসপি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেয়। কিন্তু কোন ফল পায়নি সিএনজি চালকরা।
এতে নিরুপাই হয়ে সোমবার দুপুরে তানোর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ মারামারির ঘটনার পর রাজশাহী থেকে সকল রুটে চলাচল বন্ধ করে দেয় বাসের শ্রমিকরা। একই সাথে সিরোইল বাস টার্মিনালের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা এলোমেলো করে বাস রেখে সড়ক বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে বাস টার্মিনালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিকেল ৩টার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্থ করা হলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। তবে বাস চলাচল বন্ধ রাখে।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শ্রমিকেরা বাস ছাড়ছে না। রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস বন্ধ আছে। শুধু বাইরে থেকে আসা বাস চলে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তানোরে আমাদের পাঁচ-ছয়জন শ্রমিককে মেরে আহত করেছে অটোরিকশার চালকেরা। পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’
বাস শ্রমিকরা জানায়, ‘রাজশাহীতে বিআরটিএর অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ ভাবে শতাধিক সিএনজি চলাচল করছে। এবিষয়ে বাস মালিক ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এর উপর তারা উল্টো বাস শ্রমিকদের মারপিট করে আহত করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক নেতা জানান, ‘সোমবার সিএনজি শ্রমিকদের হামলার পর পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে জানানো হয়। এ সময় তিনি পরিবহণ নেতাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। এতে শ্রমিকরা আরও ক্ষুদ্ধ হয় এবং লাঠিসোঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আসেন। পরে তারা সিরোইল বাস টার্মিনালের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।’
এ বিষয়টি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
তানোর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকদের সমস্যা পুরোনো। এরা শহরে গেলে তাদের সিএনজি আটকানো হয়। এরা তখন তানোরে বাসের চালক-হেলপারদের দাপট দেখায়। অটোরিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে নেওয়ার জের ধরে তানোর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।’
ওসি বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় বাস শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ