বুধবা, ১৮ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১০:৫৫ am
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান ও ম্যানজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিকের বিরুদ্ধে চাকুরি, মার্কেট ভাড়া দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাত ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার আজহারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহী চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারী বরাদ্দ ১৫ লাখ টাকা, বিদ্যালয়ের একাউন্টে থাকা ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বিদ্যালয়ের দুইটি মার্কেটের ভাড়ার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজের নাম করে টাকাগুলো উত্তোলনের পর আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিকের যোগসাজশে কেশরহাট গ্রামের মাহমুদ হাসানকে পিয়ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিক মিলে ক্ষমতার দাপট খাঁটি বিদ্যালয়ের দুইটি মার্কেটের দোকানঘর ভাড়া দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান স্কুল ফাঁকি দিয়ে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে কেশরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুজ্জামান শহীদের ছত্রছায়ায় নিজের ভাটার নিন্মমানের ইট দিয়ে পৌরসভার রাস্তা সংস্কারের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুজ্জামান বলেন, আমি স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কারণে স্কুলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক কেলেঙ্কারি বা অনিয়মের অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। যেহেতু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেটি তদন্ত করলে আসল তথ্য বের হয়ে আসবে।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিক জেল-হাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি ও মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযোগ কপি হাতে আসেনি। হয়-তো ডাক ফাইলে থাকতে পারে। অভিযোগটি দেখার পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. অলিউল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ