শনিবর, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৬ am
ডেস্ক রির্পোট :
রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাসায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে একে এম আব্দুর রশিদ (৮৫) নামের একজন প্রবাসী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি-১৫ নম্বর এলাকায় পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই বাসার ভাড়াটিয়ারা আব্দুর রশিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক রাত পৌনে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজারীবাগ থানাধীন ধানমন্ডি ১৫, এর ২৯৪/১ নিজস্ব ভবনের পঞ্চম তলার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন নিহত আব্দুর রশিদ। বাকি ফ্লোরগুলো ভাড়া দেওয়া। ভিকটিমের পরিবারের সবাই প্রবাসী।
আব্দুর রশিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শিক্ষার্থী বাধন বলেন, আমরা পাশের ভবন থেকে চিৎকার শুনে নিচে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থা বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখি। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে মৃত বলে জানান।
কী হয়েছিল, কীভাবে ও কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এমন প্রশ্নে বাধঁন বলেন, আমরা দেখিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বাইরে থেকে চোর বাসায় ঢুকেছিল। ওই বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী থাকেন। ঘটনার সময় আব্দুর রশিদের চিৎকারে আশেপাশে সবাই টের পান। পরে সবাই চিৎকার শুরু করলে অপরাধীরা আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে পালিয়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, নিহতের মৃতদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নিজস্ব বাড়ির দোতলায় থাকতেন আব্দুর রশিদ ও তার স্ত্রী। তারা দুই জনই ডাক্তার। গতকাল রাত ৩টার দিকে আব্দুল রশিদ দরজা খোলা রেখে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ছিলেন। তখন চুরির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে পড়ে তিন যুবক। পরে তাদের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর ধস্তাদস্তি হয়। এক পর্যায়ে চোররা আব্দুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, ওই বাড়ি ও আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুজেটে তিন জনকে দেখা গেছে। তবে ভিকটিমের বাসা থেকে কোনও কিছু খোয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা যাচ্ছে। আসলে ঘটনাটা কি চুরির, নাকি পূর্বপরিল্পিত কোনও ঘটনা আছে– সেব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া ওই তিন ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আব্দুর রশিদের স্ত্রী ভালো আছে, তার শরীরে কোনও আঘাতে চিহ্ন নেই এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাননি বলেও জানান ওসি। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন