শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৫৯ pm
এম এম মামুন :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য কেশরহাট পৌরসভা উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির ১০ সদস্য স্বাক্ষর করে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষা সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে তৎকালীন কলেজের গভনিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের যোগসাজসে ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তৎকালীন কলেজ গভনিং বডির সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ক্ষমতার দাপট খাঁটিয়ে অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। তারপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সভাপতি মিলে নিয়োগ-ব্যাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ কলেজের উন্নয়ন না করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়াও কলেজের মসজিদের উন্নয়নের জন্য কেশরহাট পৌরসভা থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা মধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকার কাজ করে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাত করেন। কলেজের এফডি আর-এ জমাকৃত ৫ লাখ টাকা, পুকুর খননের মাটি বিক্রয়ের ১০ লাখ টাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মো.আয়েন উদ্দিনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে নামমাত্র কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করেন।
এব্যাপারে কেশরহাট ডিগ্রি কলেজর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আনোয়ারুল হক হেনা বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেশরহাট ডিগ্রি কলেজ বর্তমান সভাপতি আয়শা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ