শনিবর, ২১ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১০:৪০ pm
মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাবলু, দুর্গাপুর :
রাজশাহীর দুর্গাপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরাধীন পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় গৃহপালিত ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন চলছে। ১ অক্টোবর থেকে শুরু ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম চলবে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
৭ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অভিজ্ঞ ভ্যাক্সিনেটর দ্বারা প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। দুই মাসের কম বয়সী, অসুস্থ ও গর্ভবতী গবাদি পশু ব্যতীত সকল ছাগল ভেড়াকে এই টিকা প্রদান করা হবে। উপজেলায় মোট ১ লক্ষ ত্রিশ হাজার ছাগল ও ১ হাজার ভেড়া বিপরীতে দ্বিতীয় ডজের ৮৫ হাজার টিকা প্রস্তুত রয়েছেন। উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার টিকা প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ১ম ডজের ৯০ হাজার টিকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলা জুড়ে উপযুক্ত সকল ছাগল ও ভেড়া বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
দাউদকান্দি এলকার ছাগল খামারি মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমে ছাগলের পিপিআর রোগ বেশি দেখা দেয়। এই টিকা দিতে গ্রামের ডাক্তার ডাকলে ছাগল প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা দেওয়া লাগে। তাদের ডাক্তার ডাকলে নানা তালবাহানা শুরু করে। আজ গ্রামেই বিনামূল্যে পিপিআর রোগের জন্য টিকা দিয়ে নিলাম।
ছাগল খামারি পলাশ বলেন, অধিকাংশ ছাগল পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগের টিকা সময়মতো দিতে না পারলে ছাগল মারা যায়।টিকা দিতে অনেক হয়রানি ও অর্থ ব্যয় করতে হয়। আজ প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে গ্রামের সবাইকে একত্রিত করে বিনামূল্যে টিকা দিয়ে গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গবাদি পশু পালনে পিপিআর রোগের প্রকোপে খামারিদের ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেওয়া বিনা মূল্যের ভ্যাকসিন প্রতিটি খামারির কাছে পৌঁছে তাদের গবাদি পশুকে দেওয়া হচ্ছে। এই রোগ প্রতিরোধে মাধ্যমে খামারিরা আরো লাভবান হবেন । এগিয়ে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতি। রা/অ