শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:০৮ am
এম এম মামুন :
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় ছাত্রকে শাসন করায় নইমুদ্দিন ওরফে মাইনুল নামে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও স্কুলের সিসি ক্যামেরাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে ওই শিক্ষকের বাড়ি ভাংচুর করতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়। এমন ঘটনা ঘটছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার খাঁড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ও এলামতপুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় সময় মোহনপুর উপজেলার খাঁড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার খাঁড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের শিক্ষক নইমুদ্দিন ওরফে মাইনুল ১০ম শ্রেণির ক্লাস নিতে যান। ক্লাসে পড়া না পারায় এক ছাত্রকে শাসন করে। এতে ওই ছাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। স্কুল ছুটির পর কয়েকজন ছাত্র মিলে ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে। ওই ঘটনার জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার পৌনে ৯ টার সময় স্কুল খোলার পর ছাত্ররা স্কুলের সামনে রাজশাহী-নওগাঁ অঞ্চলিক মহাসড়কে টাওয়ারে আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষক নইমুদ্দিনের পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
সেখানে প্রধান শিক্ষক উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নইমুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাখান করে। প্রধান শিক্ষক ছাত্র অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা করা অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী হঠাৎ করে স্কুলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা ও হাত ধূয়ার ব্রেচিংসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরে শিক্ষার্থীরা এলামতপুর গ্রামে গিয়ে শিক্ষক নইমুদ্দিনের বাড়ি ভাংচুর করা অবস্থায় মারপিটে তিন শিক্ষার্থী আহত হন।
এব্যাপারে খাঁড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তারা স্কুলে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা ক্ষতি করেছে। যেহেতু স্কুলের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রা/অ