বৃহস্পতিবর, ১৯ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৩২ am

সংবাদ শিরোনাম ::
পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক বৈরী আবহাওয়ার অজুহাতে বিদ্যুতের লোডশেডিং, অসহায় মানুষ বাগমারায় সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেফতার বাগমারায় মোমবাতির আগুনে ব্যবসায়ীর দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে ছাঁই মোহনপুরে চুরির মালামাল উদ্ধার, ১২ ঘন্টা পর চোর আটক মোহনপুরে ঈদে মিলাদুননবী (সা:) পালিত রাজশাহীতে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত
রাবিতে ছাত্রীকে ধর্ষণ অধ্যাপক সাদিকুলের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

রাবিতে ছাত্রীকে ধর্ষণ অধ্যাপক সাদিকুলের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন তাকে ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাঈদা আঞ্জুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে বিভাগ থেকে সভাপতি অধ্যাপক ড. সাঈদা আঞ্জু স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ যৌন হয়রানি ও নির্যাতন নিপীড়ন বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রছাত্রীরা আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

‘এর আলোকে একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আইন বিভাগের সভাপতিকে দেবে। এই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলমান থাক অবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ক্লাস, পরীক্ষা তথা সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হলো।’

অধ্যাপক সাঈদা আঞ্জুকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল আলীম, অধ্যাপক শাহীন জোহরা এবং সহযোগী অধ্যাপক সালমা আখতার খানম।

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাঈদা আঞ্জুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে আমরা বসে আমাদের পরবর্তী কর্মপদ্ধতি কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করবো।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের ফেসবুক গ্রুপে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরকে ধর্ষক সম্বোধন করে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। একটি বিষয় আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে শেষ করে দিচ্ছে। আইন বিভাগের সাদিকুল ইসলাম সাগর আমাকে ধর্ষণ করেছে। নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আমাকে জুবেরি গেস্ট হাউসে নিয়ে অনেক দিন অত্যাচার করেছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা যদি জুবেরি ভবনের কর্তৃপক্ষকে চেপে ধরেন, আসল সত্যটা জানতে পারবেন। ধর্ষক এই লোকের বিচার চাই, হয়তো আমি বাঁচবো না, বেঁচে থাকার ইচ্ছা আমার নেই। এখনও মানসিক নির্যাতনে রেখেছে। ক্যাম্পাসে তার ভয়ে যেতে পারি না। আমার জন্য বিচার চাই না, যেন আর কোনও মেয়ের জীবন ধ্বংস না হয়! আমার জানামতে ডিপার্টমেন্টের বাইরেও অনেক মেয়েকে তিনি ব্ল্যামেইল করে, জোর করে বেডে নিয়ে যায়। ইদানিং আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিচার যখন করছেন আপনারা, এই অপরাধীর বিচার করবেন।’ রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.