সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:০০ am

সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীতে প্রেসক্লাবে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক, যান চলাচল বন্ধ একতরফা নির্বাচন গায়ের জোরে করতে চাই না কেউ : নতুন সিইসি গাজীপুরে দুর্ঘটনায় নিহর শিক্ষার্থী সাকিবের লাশ রাজশাহীতে দাফন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন গোদাগাড়ীতে প্লাজমা ফাউন্ডেশনের ৯ম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আমবাগান থেকে বাঘায় দিনমুজুরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নগরীতে জেলা কৃষকলীগ সভাপতি তাজবুল ইসলামসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার নাচোলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ১৪৮তম শাখা উদ্বোধন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল কায়েম চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা : সাকি তানোরে আলু বীজে মহাসিন্ডিকেট, দ্বিগুন দামে দিশেহারা চাষীরা! দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রফিক সরকারের দাফন সম্পন্ন দুর্গাপুরে বিএনপি’র আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য কোথাও বসাতে না পেরে বিক্রি করলেন ভাঙারির দোকানে রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই : আনন্দবাজারকে জামায়াতের আমির আগামী তিন মৌসুমের জন্য আইপিএলে যে ১৩ ক্রিকেটারের নাম দিল বিসিবি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কাজ থামিয়ে রাখেননি অভিনেত্রী হিনা খান নগরীতে সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১ জন গ্রেপ্তার তানোরে সার বিতরণে অনিয়ম ও পাঁচার রোধে হট্টগোল মারপিট দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখলমুক্ত দাবিতে ইউএনও’কে স্মারকলিপি রাজশাহীতে সমন্বয়ক পেটানোর ব্যাখ্যা দিল মহানগর ছাত্রদল
নানা উদ্যোগে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ভেজাল ওষুধ

নানা উদ্যোগে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ভেজাল ওষুধ

ডেস্ক রির্পোট :
নানা উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে দেশের ভেজাল ওষুধ। বরং প্রতারক চক্র আটা, ময়দা, সুজি দিয়ে বানাচ্ছে নকল অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ক্যাপসুল। তারপর তা অবাধে দেশজুড়ে বাজারজাত করছে। শুধু অ্যান্টিবায়োটিক নয়, লিভার সিরোসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যালবুমিন ইনজেকশন নিয়েও চলছে ভেজাল সিন্ডিকেট। ফলে ইনজেকশন পুশ করার পরই অনেক সময় রোগী মারা যাচ্ছে।

আর দোষ গিয়ে পড়ছে ডাক্তারদের ঘাড়ে। অনেক চিকিৎসকই ঝুঁকি এড়াতে এই ওষুধ এখন আর ব্যবহার করছেন না। ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসকরা অ্যালবুমিন ওষুধ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেন। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালেও ভেজাল অ্যালবুমিন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় চিকিৎসকদের। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ওষুধে ভেজাল থাকলে রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যায়। মাঝেমধ্যেই ভেজাল অ্যালবুমিন পাওয়া যায়।

এমনিতেই অ্যালবুমিনে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। অনেক সময় রোগীর আইসিইউর প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে যদি ভেজাল থাকে তাহলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।গত বছরের নভেম্বরে এক নকল অ্যালবুমিন প্রস্তুতকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েক মাস আগে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত এক রোগীকে অ্যালবুমিন ইনজেকশন দেয়ার পর সেই রোগী মারা যান। এরপর আরো কয়েকজন রোগীকে ওই ইনজেকশন দেওয়ার পর জটিলতা দেখা দেয়ায় আইসিইউতে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ওষুধ ও কসমেটিক আইন-২০২৩ পাস করেছে সরকার। সূত্র জানায়, হুবহু আসল মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে সংঘবদ্ধ চক্র; যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য।

২০২৩ সালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ১ হাজার ৬৯৬টি মোবাইল কোর্ট, আটটি ড্রাগ কোর্ট ও ৪৪৭টি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তবে ভেজাল ওষুধের জন্য জেলে দেয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভেজাল হ্যালোথেনে ঘটেছে রোগী মৃত্যুর ঘটনা। সূত্র আরো জানায়, রোগ প্রতিরোধ করে জীবন বাঁচাতে মানুষ ওষুধ সেবন করে। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল! ভেজাল ওষুধ তৈরি এবং বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত চক্রকে ধরতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এ চক্রকে সহযোগিতা করছে অতিমুনাফালোভী কিছু ফার্মেসি মালিক। মিটফোর্ডকেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি ব্যবসায়ী এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে পাইকারিভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ। ওষুধে ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি হলেও দেশে ভেজাল ওষুধ কারবারিদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক সাজা এখন পর্যন্ত মেলেনি। মিটফোর্ড ঘিরে এ চক্রের কথা সবার জানা। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

এদিকে এ প্রসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, হ্যালোথেন ওষুধের দোকানে বিক্রি হয় না। হাসপাতালগুলো কোম্পানির এজেন্টের মাধ্যমে ওষুধগুলো কিনত। যেহেতু ওষুধটি ফার্মেসিতে বিক্রি হয় না, তাই আমরা জানতাম না ওষুধটি নকল হচ্ছে। হ্যালোথেন ছাড়াও অন্যান্য ভেজাল ওষুধ ধরতে মাঠ পর্যায়ে পোস্ট মার্কেট সার্ভিল্যান্স ও কন্ট্রোল করা হয়। তবে সমস্যা হলো আমাদের জনবলের ঘাটতি আছে। মাঠ পর্যায়ে এক-দুজন কর্মকর্তা কাজ করেন। অন্যদিকে এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ওষুধে ভেজাল দেখার কাজ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। আমি তাদের এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। সূত্র : এফএনএস

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.