রবিবর, ২২ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১২:১৩ pm
ডেস্ক রির্পোট :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম থেকে ১৯৯ টন চাল ও গম গায়েব হয়ে গেছে। বিভাগীয় তদন্তের পর এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে খাদ্য কর্মকর্তা কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন।
গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, পলাশবাড়ী খাদ্য ওই গুদামের দায়িত্বে কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকী। স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী মহলের যোগসাজশে তিনি দিনে দিনে গুদাম থেকে চাল ও গমের বস্তা বের করে বিক্রি করতে থাকেন। কিন্তু গত ১৭ মে ঢাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি গাইবান্ধায় আসেন। তিনি গাইবান্ধার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পলাশবাড়ী খাদ্য গুদামে নিয়মিত পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি গোডাউনে বস্তার গরমিল দেখতে পান। পরে চাল ও গমের বস্তার ঘাটতি দেখতে পান।
গত ২১ মে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকীকে স্ট্যান্ড-রিলিজ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাকিব রেজোয়ানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি বিষয়টি গত ৩ জুন পর্যন্ত তদন্ত করেন। তদন্তে ১৯৯ টন চাল ও গম ঘাটতি ধরা পরে। যার মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ৪ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে তিনি কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ চাল ও গম গুদাম থেকে গায়েব করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর