শুক্রবার, ১৮ অক্টোব ২০২৪, সময় : ১০:১৬ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষার মর্যাদা আদায়ের লড়াইয়ে শহিদ ১১ জনকে রাজশাহীতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে। শিলচর শহিদ দিবস উপলক্ষে রোববার সকালে রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্ক শহিদ মিনারে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা পরিবর্তন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক (লিগ্যাল) দিল সেতারা চুনি, মহিলা পরিষদের জেলা সভাপতি কল্পনা রায়, সাধারণ সম্পাদক অঞ্জনা সরকার, পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন, প্রোগ্রাম অফিসার সোমা হাসান, মহিলা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নিলুফার আহামেদ, প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক সেলিনা বানু, নির্বাহী সদস্য তাহেরা খাতুন প্রমুখ।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৬১ সালের এই দিনে ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরের ১১ জন বাঙালি মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য তথা বাংলায় কথা বলার জন্মগত অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন। ১৯৫২ সালে বাংলাদেশে অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ববাংলায় ভাষা আন্দোলনের ৯ বছর পরে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য এমন আরও একটি আন্দোলন হয়েছিল এবং সেই আন্দোলনে একজন নারীসহ ১১ জন বাঙালি বুকের রক্ত দিয়ে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন আসামের বরাক উপত্যকার শিলচরে। সেই কথা আমাদের অনেকের এখনো হয়তো অজানা রয়ে গেছে। পৃথিবীতে একই ভাষার জন্য দুটি আলাদা রাষ্ট্রে এবং আলাদা সময়ে প্রাণ দেওয়ার অনন্য ইতিহাস এটি।
উল্লেখ্য, শিলচর শহরে বাংলাকে মাতৃভাষার মর্যাদা আদায়ের আন্দোলন শুরু হলে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। সেদিন মায়ের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শহিদ হন কমলা ভট্টাচার্য (পৃথিবীর একমাত্র নারী ভাষাশহিদ), শচীন্দ্র পাল, বীরেন্দ্র সূত্রধর, কানাইলাল নিয়োগী, চন্ডিচরন সূত্রধর, সত্যেন্দ্র দেব, হীতেশ বিশ্বাস, কুমুদরঞ্জন দাস, তারিণী দেবনাথ, সুনীল সরকার এবং সুকুমার পুরকায়স্থ।
পরদিন ২০ মে শোকার্ত আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শহিদদের লাশ নিয়ে শিলচর শহরে শোক মিছিল বের করেন। আসাম রাজ্য সরকার আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে শেষপর্যন্ত বাংলাকে দ্বিতীয় রাজ্যভাষা হিসেবে ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছিল। রা/অ