বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০১ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন বাস্তবায়নে উপজেলা শাসন কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিতায় উপজেলায় বিপুল সংখ্যক কৃষি জমি প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। রহস্যজনকভাবে শাসন কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
কৃষি জমি সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন আদেশ, নির্দেশ ও প্রচলিত আইন থাকা সত্ত্বেও তা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ না থাকায় নিমিষে কৃষকদের জমি রাতারাতি জবর দখলের মাধ্যমে সমতল উর্বর কৃষি ভূমি হয়ে যাচ্ছে বড় বড় পুকুর ও দিঘী। খননকৃত মাটি খননকারীরা সরকারি বিভিন্ন রাস্তাঘাট ব্যবহারের ফলে ভাঙচুর ও গর্তের কারণে বর্ষাকালে রাস্তাঘাট কদময়, জলাবদ্ধতা ও খরামৌসুমে ধুলা বালিতে মানুষের জনজীবন নানাভাবে বিপর্যয় হয়ে উঠেছে।
এই সুবাধে উপজেলার অসাধু কিছু কর্মকর্তা পাচ্ছেন অবৈধভাবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবিঘায় ২০ হাজার টাকা করে পুলিশ প্রশাসন আর উপজেলা প্রশাসনকে ৩০ হাজার টাকায় ম্যানেজ করে দিন-রাত চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলার মারিয়া, যোগীপাড়া, গোয়ালকান্দী, হামিরকুৎসা, গোবিন্দপাড়া, দ্বীপপুর ও গনিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত শতশত বিঘা কৃষি জমিতে চলছে পুকুর খনন।
কৃষি জমি সংরক্ষণে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ভুক্তভোগীরা পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার বা আইনের শাসন। বর্তমানে বাগমারা উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের তেলিপুকুর গাঙ্গোপাড়াসহ বাগমারা উপজেলার প্রায় ২০-২৫টি জায়গায় অবাধে কৃষি জমি ধ্বংস করে দিন রাত চলছে পুকুর খননের রামরাজত্ব।
এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও আশ্বস্ত ব্যতীত প্রতিকারের আলোর মুখ দেখতে পাচছে না কেউ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে বাগমারা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের জোর দাবি বাগমারা উপজেলায় কৃষি জমি সংরক্ষণে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। রা/অ