শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:২৭ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অনুষ্ঠান চলা অবস্থায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বক্তব্যের সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম না নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠান বর্জন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকতা ক্ষমা প্রার্থনা করলে অনুষ্ঠানে যোগ দেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে মাঠে শারীরিক ডিসপ্লে করতে আসা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়ে।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে থাকেন মোহনপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে গিয়ে তারা পূর্বের মতোই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বক্তব্যের সময় উপস্থিত সকলের নাম উল্লেখ্য করার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম না নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
সঙ্গে সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠান বর্জন করে মঞ্চ থেকে বের হয়ে মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে এসে অবস্থান নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষমা প্রার্থনা করলে মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে ফেরার পর কার্যক্রম শুরু হয়।
মোহনপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীরৃুক্তিযোদ্ধা মো: সিদ্দিকুর রহমানসহ উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বক্তব্যের সময় সকলে নাম বললেও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নাম না নেওয়ায় নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেছিলাম, তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি ক্ষমা প্রার্থনা করায় পরে যোগদান করি।
মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। রা/অ