শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:১৩ am
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘ দিন ধরে অভিনব কায়দায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে একই মালিকের পাশা পাশি দুইটি পেট্রোল পাম্পে ওজন পরিমাপে চলছে ডিজিটাল কারচুপি। এই কারচুপির কারণে সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা ও যানবাহন মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৮ টার সময় কেশরহাট ফ্লিলিং ষ্টোশনে মাপে কারচুপি করার অপরাধে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা পেট্রোল পাম্প ঘিরে রাখেন স্থানীয় লোকজন। পরে পাম্পের পক্ষ থেকে ভুল স্বীকার করে তেল পূরণ করে উপস্থিত লোকজনকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পূর্ব পাশে কেশরহাটে একই মালিক পাশাপাশি দুইটি রহমান ফিলিং স্টেশন ও কেশরহাট ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে দীর্ঘ দিন ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌর সভার বাকশৈল গ্রামের শামসুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বোতলে করে এক লিটার ডিজেল তেল ক্রয় করার জন্য কেশরহাট ফিলিং স্টেশনে যান। তেল নেওয়ার পর সন্দেহ হলে পাম্পের পাশে এসে মাপ করলে প্রায় ২শত গ্রাম কম হয়। বিষয়টি পাম্পে কর্মরত লোকজনকে জানালে তারা পুরোটায় অস্বীকার করে। ওই সময় শামসুদ্দিন আবারও ১ লিটার ডিজেল ক্রয় করে পাম্পের ভিতরে মাপ করলে তাতে প্রায় ২শত গ্রাম কম হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯ টার পর আশে পাশের লোকজন এসে পাম্প ঘেরাও করে প্রতিবাদ করতে থাকে। ওই সময় পেট্রোল পাম্প মালিকের ছেলে মিজানুর রহমান দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুল স্বীকার করে তেল পূরণ করে উপস্থিত লোকজন হটিয়ে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মোহনপুর থানা পুলিশ। ওই সময় কোন লোকজনকে পায়নি জানিয়েছেন মোহনপুর থানা পুলিশ।
মোহনপুর উপজেলার সইপাড়া গ্রামের আতিউর রহমান নায়েব বলেন, তিনি প্রতিদিন কেশরহাট ফিলিং স্টেশন থেকে প্রায় ৮০ লিটার ডিজেল তেল ক্রয় করেন। তার সাথেও ওজনে কারচুপি করা হয় বলে অভিযোগ করেন। মাপে কারচুপির জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এর সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়টি নিয়ে পেট্রোল পাম্প মালিকের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, মাপের বিষয় নিয়ে সমাস্যা হয়েছিল। আমি আসার পর তা সমাধান করা হয়েছে। রা/অ