রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:৪০ pm
জাকির হোসেন টুটুল, তানোর :
সর্বত্রই নৌকার গণজোয়ার উঠেছে, আবার প্রচার-প্রচারনাইও এগিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি ফারুক চৌধুরী। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারনা। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে তিনবারের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর জয়জয়কার অবস্থা।
শুক্রবার সকাল থেকে তানোর উপজেলার সরনজাই, তালন্দ, পাঁচন্দর ইউপি ও মুন্ডুমালা পৌরসভায় নির্বাচনি সভা করেন এমপি ফারুক চৌধুরী।
এদিন ২২ ডিসেম্বর আড়াইটার দিকে তালন্দ ইউপির মোহর ঘুড়াডুবি মোড়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মেম্বার আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান মেম্বারের সঞ্চলনায় তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল ওয়ার্ড নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনগণের উপস্থিতিতে নির্বাচনি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বচনি সভায় ফারুক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা, উন্নয়ন সমৃদ্ধির প্রতীক নৌকা। সুতরাং যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আ.লীগ বলে দাবি করেন, তাদের চেয়ে বিশ্বাস ঘাতক আর কিছুই হতে পারে না। তারা কিভাবে নিজেদের আওয়ামী লীগ দাবি করেন বুঝে আসে না। ভোটারদের লক্ষ্য করে এমপি ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, অনেকে বলেছেন আমি নাকি জমিদারি শাসন কয়েম করেছি। আমি বিগত ২০০৮ সাল থেকে এমপি হিসেবে আপনার সেবা করে যাচ্ছি। আপনারা বুকে হাত রেখে বলেন, আমি কার উপর জমিদারি শাসন দেখিয়েছি। আমার অপরাধ আমি কোন দালালের জন্ম দিয়নি, আমার অপরাধ আমি একক ভাবে কারো হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়নি, আমার অপরাধ আমার কাছে আসতে কোন দালাল ধরতে হয় না। আমার অপরাধ ১০০ উপজেলার মধ্যে তানোরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ করতে জায়গা দিয়েছি, আমার অপরাধ আজীবন কাউকে দায়িত্বে রাখিনি, আমার অপরাধ স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আপনাদের ভোট ও দোয়া নিয়ে প্রথম বারের মত মহান সংসদে গিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কথা বলেছি ও বাস্তবায়ন করেছি। আমার অপরাধ নতুন নতুন নেতৃত্ব তৈরি করেছি। এসব না করলে আমি অপরাধী হতাম না। যদি এক জনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করিনি। ভোট করার সবার অধিকার আছে।
কিন্তু মিথ্যা অপপ্রচার কেন। দুই উপজেলার ভোটাররা তাদের পবিত্র আমানত ভোট দিয়ে যাকে বিজয়ী করবেন তিনিই প্রতিনিধিত্ব করবেন। এখানে অপপ্রচারের কোন কারণ দেখিনা। আমি তো আমার পরিবারের কোন সদস্যকে নেতা বানায়নি বা ক্ষমতা দিই নি, তাহলে কিভাবে জমিদারি শাসন হল। আমি ভোটারদের অনুরোধ করে বলব, আপনারা সবকিছু বুঝেন ও জানেন, কে প্রতিনিধি হলে এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে, কোন দালাল তোকায়রের জন্ম হবে না। আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করুন এবং বাকি উন্নয়ন বুঝে নিন।
আমি তানোরের সন্তান, আপনাদের সন্তান, দয়া করে আরেকবার বিজয়ী করে স্মার্ট তানোর গড়ার দরজা খুলুন। আমাকে পরাজিত করতে স্বতন্ত্র নামধারীরা নানা অপপ্রচার, নানা প্রতিশ্রুতি দিবেন। আমাকে নৌকা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রুপকার শেখ হাসিনা। সুতরাং শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে নৌকার বিকল্প নেই।
মানুষ ভূলের উর্ধ্বে নয়, আমার ভূল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে আরেক বার আপনাদের এই সন্তানকে বিজয়ী করুন। আপনাদের পবিত্র ভোটের আমানতের মূল্য অবশ্যই রাখব। কৃষি নির্ভর তানোর উপজেলাটি। অতীতে কোন শিল্প কলকারখানা ছিল না। আমার সময়ে উপজেলার কৃষকদের আলু সংরক্ষণের জন্য পাঁচটি হিমাগার নির্মাণ হয়েছে। আরো দুটি নির্মানাধীন রয়েছে। এই আলু রাখতে কৃষকদের অন্য এলাকায় যেতে হত। কিন্তু যেখানেই উৎপাদন করছেন সেখানেই সংরক্ষিত করে রাখতে পারছেন।
আগামী পাঁচ বছরে তানোরে অনেক শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করা হবে। শিল্প কলকারখানা হলে এলাকার বেকারত্ব দূর হবে, সুফল পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। সুতরাং ফুলঝুরির মত কথায় ভুলবেন না, আর নৌকার বাহিরে যাবেন না। আপনাদের ভোটে এমপি নির্বাচিত হলে বাকি উন্নয়ন সম্পন্ন করা হবে, এক ইঞ্চি কাচা মাটির রাস্তা থাকবে না, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন হবে। তানোরে তিনটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এমপি ফারুক চৌধুরী শুক্রবার দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনি সভা ও গণসংযোগ করেন। এছাড়াও প্রতিটি পাড়া মহল্লায় আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। রা/অ