শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর সবকটি সংসদীয় আসনে এবার নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগের কিছু নেতা। এদিক থেকে রাজশাহী-৬ চারঘাট-বাঘায় এবার দলীয় ফরম উত্তোলনের পর মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চারঘাট উপজেলার বাসিন্দা রায়হানুল হক রায়হান। তার সাথে যোগ দিয়েছেন বাঘা উপজেলার উল্লেখ যোগ্য দুই নেতা। তবে এই দুই নেতার সমর্থীত অসংখ্য নৌকা প্রেমী ইতোমধ্যে দলীয় প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে হাত মিলিয়েছেন ।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছর যিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে চারঘাট-বাঘায় সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি হলেন রায়হানুল হক রায়হান। বিগত সময়েও নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দুইবার ভোট করেছেন তিনি। তবে বিগত দুই বারের মধ্যে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে যে আক্কাছ আলী রায়হানুল হকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা কবির হোসেনকে বিজয়ী করে ছিলেন। সেই আক্কাসই এবার প্রকাশ্যে রায়হানুল হক রায়হানের পক্ষে প্রচারনা চাচ্ছেন।
এ ঘটনায় আক্কাছ পন্থি অনেকেই ইতোমধ্যে তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে স্বাধীনতার প্রতীক ও তিন-তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং দুই বারের সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাথে হাত মিলিয়েছেন। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, গত ১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ বিকেলে উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপলো আ’লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেই সভায় নৌকা বিরোধী মেয়র আক্কাছ আলীর সহদ্বর ভাই মো. সাবদার আলী শাহরিয়ার আলমের সাথে হাত মিলিয়ে বলেন, ভয় পাবেন না। যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ, তারা কেউ নৌকার বাইরে যাবে না। আমি একজন নেতার ভাই হয়ে যখন আপনার কাছে এসছি, তখন অন্যরাও আসছে।
এদিকে বাঘার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তা, চন্ডিপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম, পন্ডিত পাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবজাল হোসেন, ছাতারী এলাকার আব্দুল কুদ্দুস সোনা এবং নাম প্রকাশ না করার সর্তে দুই উপজেলার অনেকেই জানান, আমরা ব্যক্তিকে পছন্দ করে যে কেউ-একে অপরের সাথে ঘুরতে পারি। তার মানে এই নয় যে, মুল ধারাকে বাদ দিয়ে ঐসব নেতার স্বার্থ নিশি কথামতো নৌকার বিপক্ষে ভোট করবো ! এটা বিগত সময়ে করে ভুল করেছি। এখন থেকে আর কোন ছাড় নেই। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমাদের একটিই প্রতিক সেটি হলো নৌকা।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী ও বাঘা পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, যারা নিজেদের স্বার্থে আঘাত হানাকে কেন্দ্র করে বিগত সময়ে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট করেছেন এবারও তারাই করছেন। তবে এসব নেতাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে ইতোমধ্যে অনেককর্মী নৌকার পক্ষে চলে এসেছে এবং পর্যায়ক্রমে আসা শুরু করেছেন। আমাদের আত্নবিশ্বাস গত ১৫ বছরে চারঘাট-বাঘায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন থেকে শুরু করে গ্রামীন অবকাঠামো সহ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে সকল উন্নয়ন করেছেন তার ফলোশ্রুতিতে এ অঞ্চলের মানুষ আবারও তাঁকেই নির্বাচিত করবেন।
তবে এলাকার সুধীজনরা জানান, এ সমস্যা শুধু রাজশাহী-৬ আসনই নয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সবকটি আসনে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ সকল সমস্যা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলেও তারা মন্তব্য করেন। রা/অ