শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৪৫ am
শহিদুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিবেদক) নাচোল :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিফ২/২০২৩-২৪ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের কর্তন করা হয়েছে। নাচোল উপজেলার জগদইল গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলামকে বিনামূল্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়।
তিনি কৃষি অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক পেঁয়াজের চাষ করেন। তার ৫০ শতাংশ কাটিমন আমের জমিতে ১০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে বলে জানান। তিনি জানান, নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রোপন করে আমি এ বছর লাভবান হয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডক্টর পলাশ সরকার, নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হানুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আমিনুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাকিবুল ইসলাম।
উপ-পরিচালক ডক্টর পলাশ সরকার জানান, দেশে পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে নাসিক এন – ৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। আগামীতে চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তিনি। এ পেঁয়াজের চারা রোপনের তিন মাসের মধ্যে পেঁয়াজ বাজারজাত করা যায়। এছাড়া প্রতি বিঘায় ১২০ থেকে ১৩০ মন পিঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম জানান, নাসিক এন -৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবে। উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে দুই দফায় ৩০০ জন করে ৬০০ জন কৃষকের মাঝে চলতি অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে পেঁয়াজ চাষের উপকরণ হিসেবে বিঘা প্রতি ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি এমওপি ২০ কেজি ডিএফপি এবং বীজতলা তৈরিতে পলিথিন, বালাইনাশক, নাইলন সুতলি সহ সব উপকরণ দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস সার্বিক পর্যবেক্ষণ করেন। রা/অ