শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৭ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : নেপিয়ারের ম্যকলিন পার্কে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আমরা খুব লাফালাফি করেছি। ভাবটা ছিল এমন যে- ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো ডার্কওয়ার্থ অ্যান্ড লুইস পদ্ধতির ভুলভাল হিসাব-নিকাশ করেছিলেন। তিন-তিনবার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। এমন করলে কী আর মনযোগ দিয়ে খেলা যায়? না হলে তো আমরা জিতেই যেতাম!
সেদিন ভুল হিসেবে প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ ওভারে ১৪৮ রান। ধরে নিলাম, সেটাই ঠিক ছিল। তাতেও কী জিততে পারতাম? বাংলাদেশ তো থেমে গেছে তারও আগে, ১৪২ রানের মাথায়। সে হিসেবে তো ৫ রানে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে! যদিও পরিবর্তিত লক্ষ্য নিধারণের পর বাংলাদেশের হারের ব্যবধান ছিল ২৮ রানে।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আজ (বৃহস্পতিবার) মাঠে নামার আগের দিন সৌম্য সরকার মিডিয়ার সামনে এসে অনেক বড় বুলি আউড়ে গেলেন। নেপিয়ারে ২৭ বলে ৫১ রান করার কারণে আত্মবিশ্বাসে যেন টগবগ করে ফুটছিলেন তিনি। বলে দিলেন, নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতেই হারানো সম্ভব। তবে…।
তবে কী? দলের সবাইকে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। এ কথাটা তো নির্বোধও জানে। দলের সবাই একসঙ্গে কখনো জ্বলে উঠে না। উঠলে তখন কোনো পরাশক্তিই সামনে দাঁড়াতে পারতো না। দলের সবাই না হোক অর্ধেকও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে সেটা প্রতিপক্ষের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে যায়।
নিউজিল্যান্ড সফরে এমনিতেই সফরকারী প্রতিটি দল খাবি খায়। সেখানে বাংলাদেশ কিউইদের মাটি থেকে সাফল্যের সোনালি রেনু ছড়িয়ে দেবে- এমন ভাবাটা উচ্চ বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ওয়ানডে সিরিজের আগে অধিনায়ক তামিম, কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছেন, ‘এবারই সুযোগ নিউজিল্যান্ডকে হারানোর।’ টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কিংবা শেষ ম্যাচের আগে সৌম্য সরকার বলেছেন প্রায় একই কথা।
কিন্তু গালভরা বুলি আর মাঠের খেলা এক কথা নয়। কোন কন্ডিশনে কিভাবে দল চালাতে হবে, ফিল্ডিং সাজাতে হবে, বোলার ব্যবহার করতে হবে এবং সর্বোপরি ব্যাটিং করতে হয়, তা জানতে হবে আগে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কে এ সম্পর্কে ভালো বলতে পারবে? নিউজিল্যান্ডে বাউন্সি কন্ডিশন, বল হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে, বুক সমান গতিতে ছুটে আসে- বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এগুলো কিভাবে সামলাবে, এসব জানে তারা? তাদেরকে কে শেখাবে? সূত্র : জাগোনিউজ। আজকের তানোর