সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫৮ pm
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গাছ লাগানোর বিশাল এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব। কার্বন নিঃসরণ, যুদ্ধ এবং ভূমির অবক্ষয় সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দেশজুড়ে এক হাজার কোটি গাছ লাগাবে মধ্যপ্রাচ্যের মরু দেশটি।
শনিবার এই উদ্যোগের ঘোষণা দেন যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান। ২০৩০ সালের মধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চায় দেশটি।
পাশাপাশি ‘মিডলইস্ট গ্রিন ইনিশিয়েটিভ’ বা মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় আরবের দেশগুলোতে আরও ৪ হাজার কোটি গাছ লাগানো হবে। রয়টার্স, এনডিটিভি।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যের অন্য আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এই কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে রিয়াদ। এর অংশ হিসাবে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন তথা ৪ হাজার কোটি গাছ রোপণ করা হবে, যা হতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম বন পুনরুদ্ধার কর্মসূচি। সামগ্রিকভাবে এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মধ্যপ্রাচ্য সবুজায়ন প্রকল্প’।
সৌদির অর্থনৈতিক-সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১০ বছর মেয়াদি যে পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে, তার আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। বিবৃতিতে সৌদি যুবরাজ বলেন, বিশ্বজুড়ে যে গতিতে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলকে দ্রুত এবং কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে সৌদি আরব।
এ কারণেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা-এ দুটি বিষয়কে যারা সমন্বয় করতে অক্ষম, সৌদি আরব তাদের দলভুক্ত নয়।
তবে সৌদি আরব ও আরবের অন্য দেশগুলোতে প্রায় সর্বত্রই মরুভূমির প্রাধান্য দেখা যায় এবং পানির জোগানও সেসব অঞ্চলে খুবই সীমিত।
কীভাবে এই বিশাল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলেননি মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে প্রতিদিনই বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা।
পানির উৎস অত্যন্ত কম থাকায় দেশে পানির চাহিদা মেটাতে আরবের অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবও সমুদ্রের পানিকে লবণমুক্ত করে পানযোগ্য করে তুলতে বেশ কয়েকটি প্ল্যান্ট পরিচালনা করছে।
অভ্যন্তরীণভাবে সৌদি আরবে যে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ব্যবহার হয়, তার একটি বড় অংশই ব্যয় হয় বিদ্যুৎ ও পানি লবণমুক্ত করার প্রকল্পে। এ দুটি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে দেশটিতে এবং এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি অর্থনীতিতে তেল নির্ভরতা কমাতে চান। সূত্র : যুগান্তর। আজকের তানোর