রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৪১ pm
সারোয়ার হোসেন, তানোর :
কে এই মাদক সম্রাট আশরাফুল ইসলাম? কখনো পুলিশের সোর্স। আবার কখনো র্যাবের সোর্স পরিচয়ে দিনরাত কামারগাঁ ইউনিয়নে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ফেন্সিডিলের রমরমা ব্যবসা। রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের পারিশো দূর্গাপুর গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের মাদক ব্যবসা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এতোদিন গোপনে ফেন্সিডিলের ব্যবসা করলেও এখন অদৃশ্য শক্তির বলে শুরু করেছেন প্রকাশ্যে দিবালোকে ফেন্সিডিলের ব্যবসা। এতে করে আশরাফুলের প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার জন্য উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়ে নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন অভিভাবক মহল ও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী। এমনকি আশরাফুলের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে চাকু ছুরি নিয়ে চালান তার উপরে হামলা। যার ফলে দিনে দুপুরে আশরাফুলের মাদক ব্যবসা দেখেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
সম্প্রতি, চলতি মাসের (১৬ অক্টোবর) পারিশো বাজারে প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল বিক্রির সময় আশরাফুলকে সাবেক যুবলীগ নেতা রিগ্যান মন্ডল এলাকায় মাদকের ব্যবসা করতে নিষেধ করেন। এতে করে দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডাতা। একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল নিজেকে ওয়ার্ড সৈনিক লীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলে আমি ব্যবসা করব, পারলে যেন কেউ ঠেকাই। এই বলে পাশে থেকে আশরাফুলের ছেলে রাসেল কোমর থেকে চাকু বের করে হত্যার উদ্যেশে আঘাত করেন রিগ্যানকে। আর এতে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রিগ্যান মন্ডল। চাকুর আঘাত এতটাই মারাত্মক ছিল তাকে তানোর মেডিকেল থেকে রেফার্ড করে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করতে হয়। তারপরেও থামেনি আশরাফুলের মাদক ব্যবসা।
আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকের কারবার নিয়ে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাদকের ব্যবসা করি না। তবে, পুলিশ ও র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করে দুয়েকটা ফেন্সিডিল পেলে সেগুলো বিক্রি করি। এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করাই ভালো। এতে সবার মঙ্গল হবে বলে দম্ভোক্তি দেখান আশরাফুল ইসলাম। রা/অ