রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৫৮ am
বিশেষ প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আকন্দকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বিলসুতি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অডিটের নামে ভূয়া প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি অচিন্ত কুমার হালদার, সহসভাপতি গোলাম রহমান ও সদস্য অমূল্য চন্দ্র হালদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, বাগমারার বিলসুতি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে তদন্তের (অডিটের) নামে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আকন্দ ওই সমিতির সভাপতি অচিন্ত কুমার হালদার, সহসভাপতি গোলাম রহমান ও সদস্য অমূল্য চন্দ্র হালদারের কাছে সম্প্রতি ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও তিনি হুমকি দেন। এর প্রেক্ষিতে ওই কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। কিন্তু চাঁদার অবশিষ্ট টাকা না দেওয়ায় ওই কর্মকর্তা তার অডিট রিপোর্টে (তদন্ত প্রতিবেদন) সমিতির বিরুদ্ধে ভূয়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
অডিট রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছেন- বিভিন্ন সমিতি বা ব্যক্তির নিকট থেকে ডেমির মাধ্যমে এবং বিনা রশিদে অর্ধ কোটি টাকা আদায় করে আত্নসাৎ করা হয়েছে। এছাড়া সমিতির সাধারণ সভা ১২ টি এর পরিবর্তে ৬ টি দেখানো হয়েছে। নিয়মিত সমিতির শেয়ার সঞ্চয় আদায় করা হলেও কোনো শেয়ার সঞ্চয় দেখানো হয়নি এবং বিলসুতি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কোনো ব্যক্তি বা সমিতির কাছে সাব লীজ না দিলেও ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সাব লীজ দেওয়া হয়েছে বলে ওই ভূয়া অডিট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান আকন্দ ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করলেও ১০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেই টাকা জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে জেলা সমবায় কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। রা/অ