বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫১ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাফিয়া দিলীপ আগারওয়ালের তোলপাড় হওয়া প্রতিবেদনকে ঘিরে চলছে টাকার ছড়াছড়ি। গত সপ্তাহে দেশবাংলা পত্রিকায় ’মাফিয়া দিলীপ আগারওয়াল আবারও বিপাকে’ শীর্ষক প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ছাপা হয়।
পাশাপাশি সাঈদুর রহমান রিমন ভাই’র টাইমলাইনে একের পর এক অনুসন্ধানী তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন হওয়ায় দেশজুড়ে হৈচৈ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চলতে থাকে বাদ, প্রতিবাদ। শীর্ষ সোনা চোরাকারবারীর বেশুমার সহায় সম্পদ গড়ে তোলাসহ শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচারের ব্যাপারে সরকারি কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন নেটিজেনরা। বাস্তবেই তারকা সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন ভাইয়ের ফেসবুক ওয়ালটা অসংখ্য মানুষের কাছে চলমান পাবলিক পেপার হিসেবেই চিহ্নিত। ফলে ওয়ালের প্রতিটি লেখার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদী মন্তব্য, মত, অভিমতের বিশাল জাগরণ দেখতে পাওয়া যায়। গড়ে উঠে জনমত।
এতেই মাফিয়া সিন্ডিকেটের পোষ্য কামলারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন ও তার দেশবাংলা পত্রিকা নিয়ে মনগড়া নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে। সেগুলো টাকার বিনিময়ে বুস্ট করে লাখ লাখ মানুষের কাছে ছড়িয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তথাকথিত কোলাকাগজ, এশিয়ান মিরর এবং মাফিয়া দিলীপের ডায়মন্ড নিউজ নামের বস্তাপচা অখাদ্য পোর্টালের পাতায় প্রকাশ করা ভিত্তিহীন কল্প কাহিনী কেউ আমলে নেয়নি। সবাই বুঝে গেছেন, মাফিয়া সিন্ডিকেটের নেপথ্য কাহিনী ধামাচাপা দিতেই জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। এহেন চক্রান্তে ব্যর্থ হওয়ার পর মাফিয়া সিন্ডিকেটের দুর্বৃত্তরা হাজির হয় সাংবাদিক রিমন সাহেবের বাসভবনে, নজরদারি শুরু করে তার গতিবিধি।
উদ্বেগজনক এ অবস্থা চলাকালেই গত দুদিন গুলশান, মিরপুর, ধানমন্ডির বিশেষ বিশেষ স্পটে গিয়ে যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। মাফিয়া সিন্ডিকেটকে পুঁজি বানিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ের একঝাঁক দালালের টাকা হাতানোর দৌরাত্ম্য দেখে লজ্জায় ঘৃণায় মাথা হেট হয়ে এলো। যারা রিমন ভাইয়ের বিভিন্ন লেখায় প্রতিবাদী কমেন্টস করে অনেকের দৃষ্টি কাড়েন তাদেরই কয়েকজন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে, দিলীপের আখড়ায়। পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অঙ্গিকারে হাতিয়ে নিতে থাকেন লাখ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক কায়দায় সর্বোচ্চ অঙ্কের টাকা পকেটস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন ঢাকায় অবস্থানরত চুয়াডাঙ্গার দুই সাংবাদিক সহোদর। রা/অ