রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:১০ pm
এম এম মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা নওহাটা পৌরসভায় আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়িতে প্রবেশের রাস্তায় বালু স্তূপ করায় দুইটি পরিবার প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। বালু ফেলার পর বাড়ির নিরাপত্তা দেয়াল ও দরজা ভাংচুর করে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন এমন অভিযোগ করেন।
এর আগে গত শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় সময় পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার পিল্লাপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম টেম্পুর বাড়ির প্রবেশের রাস্তায় ট্রাকে করে বালু ফেলার পর বাড়ির নিরাপত্তা দেয়ার ও দরজা ভাংচুর করেন।
আদালতে মামলা ও ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পবা উপজেলার পিল্লাপাড়া গ্রামের ইন্তাজ আলী ২০০৩ ও ২০০৪ সালে আরএস ১৬৪ নম্বর খতিয়ানের ৬৭৪ নম্বর দলিল মূলে একই গ্রামের সুরাতন নেছার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। ওই সময় থেকে ইন্তাজ আলী উক্ত জমি বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। ইন্তাজ আলীর মৃত্যুর পর তার ছেলে তরিকুল ইসলাম বসবাস করতে থাকে। হঠাৎ করে পিল্লাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামসহ তার ছেলে রেফাতুল্লা ওরফে রেফা বিক্রয়কৃত জমি নিজেদের দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন তরিকুল ইসলাম। উক্ত জমির উপর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ৯ সেপ্টেম্বর রেফাতুল্লা ওরফে রেফা ৮/১০ জন গন্ড বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় তরিকুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম টেম্পুর বাড়িতে প্রবেশের রাস্তায় বালু ফেলতে থাকে। বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন হুমকি প্রদান করতে থাকে। ওই সময় জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের কোন সহযোগিতা পাননি ভুক্তভোগীরা। ঘটনার পর ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে দুইটি পরিবার। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত রেফাতুল্লা ওরফে রেফার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাদের জমিতে বালু ফেলেছি। বাড়ির নিরাপত্তা দেয়াল ও দরজা ভেঙে পড়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন পারভেজ বলেন, উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ পুলিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে পাঠানো হয়েছে। রা/অ