রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাগমারার হাট মাধনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বর্তমানে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না সেখানে। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও দালালদের বিরুদ্ধে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিতে আসা লোকজনের সাথে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুস-দূর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করে ওই ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ তহশীলদার সাজ্জাদ হোসেনকে দ্রুত অপসারণ করে ভূমি অফিসটি দালালমুক্ত করার দাবিতে সুজনপালশা গ্রামের সারোয়ার জাহান নামে এক কৃষক মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব, বভিাগীয় কমশিনার, রাজশাহী, জলো প্রশাসক, রাজশাহী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাগমারাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরেও দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের কপিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে নরদাশ ও সোনাডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান ও ৬ জন ইউপি সদস্যসহ অর্ধশত কৃষকের স্বাক্ষর রয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাট মাধনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (তহশীলদার) সাজ্জাদ হোসেনের ঘুস, দূর্নীতি ও ক্ষতার অপব্যবহারের কারণে বর্তমানে ওই ভূমি অফিসের সেবার মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার কারণে গোবিন্দপাড়া, নরদাশ ও সোনাডাঙ্গা ওই তিনটি ইউনিয়নের প্রজারা বর্তমানে সেবার বিপরিতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। তার এসব অসৎ কাজে সহযোগীতা করার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে এলাকার চিহ্নিত ৪ জন দালাল ব্যবহার করে থাকেন। তারা হলেন- নওশাদ আলী, হাসেন আলী, রিপন আলী ও মাহাবুর রহমান মাষ্টার। এই ৪ জন ব্যক্তি ওই ভূমি অফিসের সরকারি কোনো কর্মচারী না হয়েও তারা নিয়মিত অফিসে বসে খবরদারী করে থাকেন এবং তাদের মাধ্যমেই আদায় করা হয় ঘূসরে টাকা। তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে কারোই কোনো কাজ হয় না। কেউ তার প্রতিবাদ করতে গেলে ওই তহশীলদার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেই প্রজাকে অশ্লীলভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন কৃষক।
তবে অভিযুক্ত তহশীলদার সাজ্জাদ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম আবু সুফিয়ান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে ওই ভূমি অফিস থেকে দালালদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর নায়েবের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। রা/অ