নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে ছেলের সুন্নতে খাতনায় বাবাকে না বলায় স্ত্রী-সন্তানকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড বাবা অলিউর রহমান (৩০)। আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর তানোর পাঁচন্দর ইউনিয়নের পাঁচন্দর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো নিপা খাতুন (২২) ও তার ৭ বছরের ছেলে নুর মোহাম্মদ। ঘটনার পর গ্রামবাসী ঘাতক অলিউর রহমানকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। অলিউর রহমান একজন মাদকাশক্ত ব্যক্তি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম গ্রামবাসীদের বরাদ দিয়ে জানান, তানোর পাঁচন্দর ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকের মাদকাসক্ত ছেলে অলিউরের সাথে একই এলাকার পাঁচন্দর গ্রামের নিপার বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে আসে সন্তান নুর মোহাম্মাদ। বর্তমান নুরের বয়স ৭ বছর। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় অসহ্য অবস্থায় বছর খানেক আগে নিপা ও অলিউরের মধ্যে তালাক হয়ে যায়। এনিয়ে রাজশাহী নারী শিশু আদালতে একটি মামলা চলছে। তালাকের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বসবাস করতেন।

এরই মধ্যে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) নিপা তার ছেলে নুরের সুন্নতে খাতনা দেন। কিন্তু ছেলের সুন্নতে খাতনায় পিতাকে জানান নি নিপা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্বামী অলিউর রহমান সাবেক স্ত্রী নিপার বাসায় গিয়ে তাকে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এসময় নিপার সন্তান নুর কান্নাকাটি করে চিৎকার দিয়ে এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পাষন্ড মাদকাসক্ত বাবা অলিউর রহমান।

ঘটনাটি স্থানীয়রা জানতে পেরে অলিউর রহমানকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে আটকিয়ে রাখলে পুলিশ তাকে আটক করে।

নিহত নিপার বড়ভাই ভুলু জানান, দেড় বছর আগে তার বোনকে হাসুয়া দিয়ে কোমরে কোপ দিয়েছিলেন অলিউর। তখন অলিউরের নামে তারা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন অলিউর। পরে পারিবারিকভাবে আপোসের মাধ্যমে নিপা অলিউরের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করেন। নিপাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় অলিউলের কাছ থেকে। ৭-৮ মাস আগে আপোসের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হন অলিউর। দেড় মাস আগে আবারও নিপা-অলিউলের বিয়ে হয়। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) শিশু নূরের সুন্নাতে খাৎনাও করা হয়েছিল।

ওসি আরো জানান, ঘটনাটি শোনার পর ওইস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে অলিউরকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে নিহত মা-ছেলের মরাদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রা/অ