শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৩০ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
জমি দখল চেষ্টায় দাহ্য পদার্থ প্রয়োগে ফসল বিনস্টের অভিযোগ

জমি দখল চেষ্টায় দাহ্য পদার্থ প্রয়োগে ফসল বিনস্টের অভিযোগ

মোস্তফা কামাল (নিজস্ব প্রতিবেদক) মোহনপুর :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার লালোইচ গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ নামের এক কৃষকের ৪ বিঘা জমির আউশধানে দাহ্য পদার্থ প্রয়োগ করে ফসল বিনস্টের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বিনোপুর গ্রামে। এটি চলমান নালিশি সম্পত্তি।

ভুক্তভুগির দাবী, ওই জমির তিনজন জীবিত ওয়ারিশকে মৃত দেখিয়ে দায়িত্বকালিন সময় ওয়ারিশন সার্টিফিকেট দেন বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম। যা দিয়ে খাজনা খারিজ সম্পন্ন করে নেয় প্রতিপক্ষ বিধানচন্দ্র। পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ওই তিন সন্তান জীবিত আছেন মর্মে ওয়ারিশন সার্টিফিকেট দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বিনোদপুর মৌজার জেএল নম্বর ১০১। ওই নালিশি সম্পত্তির সিএস ৬৫ নম্বর খতিয়ানের ৪.৮৩ একর ও ৯৬ ননম্বর খতিয়ানের ৪.৫১ একর জমির মালিক শ্রী গোবরধন। তার মৃত্যুর পরে ওই জমির ওয়ারিশ হন তার দুই ছেলে শ্রী জয়চন্দ্র প্রাং এবং বিশ্বাস প্রাং। বিশ্বাস প্রাং এর মৃত্যুর পরে ওই জমির মালিক হন একমাত্র পুত্র হরিপদ প্রাং। জয়চন্দ্রের মৃত্যুর ওয়ারিশ হন তার দুই পুত্র রামগোপাল ও অভয়পদ।

এদের মধ্যে অভয়পদ স্থায়ী বসবাসের জন্য ভারত যাওয়ার সময় তার ৪ আনা জমির বিনিময় করেন মোহনপুর উপজেলার লালোইচ গ্রামের জমির উদ্দিন শেখ ও তৈয়ব আলী শেখের সঙ্গে। যার ১৯৭৪ সালের বিনিময় রেজিষ্ট্রি দলিল নম্বর ১৮৬৩। এই সূত্রে জমির উদ্দিন ও তৈয়ব আলী ভোগদখল করছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন লালোইচ গ্রামের মোজাফ্ফর দিং। এখনও জমিটি তাদের দখলেই রয়েছে। নালিশি সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তফশিলভুক্ত থাকায় খাজনা খারিজ করতে বিলম্বিত হওয়াই খারিজ করে নেয় বিধানচন্দ্র দিং।

মোজাফফর হোসেনের দাবী, ভূয়া খাজনা খারিজে জমি দখলের জন্য প্রতিপক্ষ ধানখেতে বিষ দিয়ে ধান পুড়িয়ে দিয়েছে। আদালতে আমার দায়ের করা মামলার তদন্ত করেছে পিবিআই। সেই প্রতিবেদনে সাবেক চেয়ারম্যানের দেয়া ওয়ারিশন সার্টিফিকেট ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে।

বিধানচন্দ্র জানিয়েছেন আমার দাদার নাম অভয় চন্দ্র নয় শ্রীপদ। এই সূত্রে ওই জমির আমরা মালিক। তাদের রোপপনকৃত জমির ধানে আমরা কীটনাশক প্রয়োগ করিনি। কে বা কারা করেছে তা জানি না। আমাদের ফাঁসাতে প্রতিপক্ষের এটা অপকৌশল। আদালতের মামলার বিষয়ে আদালতেই জবাব দেবো।

এসব বিষয়ে জানতে শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। রা/অ

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.